নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন ,দেশের সব কিছুর দাম বেড়েছে শুধু দাম কমেছে আওয়ামী লীগের। দিন যতই যাচ্ছে ততই আওয়ামী লীগের দাম কমছে। বর্তমান আওয়ামী লীগকে নিলামে তুললে কেউ কিনতে চাইবে না।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ১ যুগ ধরে অধিকারবিহীন। জনগণ আজ শোষিত। এই শোষণ কিভাবে হচ্ছে? জনগণের টাকা লুটপাট করে। এই যে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এসব টাকা জনগণের।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, গনতন্ত্রের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। যারা গনতন্ত্র বিশ্বাস করে না, আইনের শাসন বিশ্বাস করে না, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। সরকার বলছে, আমরা ষড়যন্ত্র করছি। সরকারকে বিদায় দেয়া ষড়যন্ত্র নয়, এটি দেশের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, দেশটা কোনো সেমিনারে স্বাধীন হয়নি, আদালতের রায়ে স্বাধীন হয়নি। দেশ স্বাধীন হয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। সুতরাং, রাজনৈতিক যত সিদ্ধান্ত, সেটা জনগণ নিবে। সেটা আদালত নিতে পারে না। মানুষ কখন সংগ্রাম করে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে, যখন তারা বুঝতে পারে, তারা শোষিত হচ্ছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আইন করেছেন, বিদেশ থেকে অবৈধ টাকা আনার জন্য। আইন করে কখনো টাকা আনা যায়, এটা আমি শুনিনি। যে দেশের ব্যাংক, সরকার, তারা চাইলে একমাত্র টাকা ফেরত আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, ধনী হওয়া অপরাধ না। সৎ পথে ধনী হলে সমস্যা নেই। কিন্তু, এই টাকা অবৈধ। এই টাকা যদি দেশে বিনিয়োগ হত, কর্মসংস্থান হত। আমরা যদি নির্বাচন না করি, এই সরকারকে কে রাখবে? ভারত? কোয়াইট ইম্পসিবল। আওয়ামী লীগ যা বলে, তা করে না। দেখবেন শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সৎ, নির্লোভ। পরদিনই দেখবেন একটা দুর্ঘটনা ঘটে।
গয়েশ্বর বলেন, বিনা অপরাধে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেল দেয়া হয়েছে। আর কী করার বাকী আছে। তাহলে আমাদের কী গা বাঁচিয়ে কথা বললে চলবে? সুতরাং ভাগ্য যেহেতু আমাদের সবার সমান, ভাগ্য পরিবর্তনেও সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মাদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ।