মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: লকডাউনের মধ্যে টানা কয়েক দিন বাজার ভালো থাকার কারণে এ সময়ে যারা শেয়ার কিনেছেন তাদের বেশিরভাগ রয়েছেন মুনাফায়। এ কারণে গতকাল প্রায় সব খাত থেকে মুনাফা তুলতে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের।
গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির চাপ দেখা গেছে। এ প্রবণতা সারাদিনই ছিল। এর জের ধরে দিন শেষে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায়। গতকাল পিএসইতে মোট লেনদেন হয় ৩৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট। এর মধ্যে দর কমে ১৫৪টির। এছাড়া ১৩০টির দর বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে দিনের শেষভাগে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি বেড়ে গেলে সূচক নি¤œমুখী হতে শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত সূচক এক পয়েন্ট ঊর্ধ্বমুখী থেকেই লেনদেন শেষ হয়। সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে।
অন্যদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৭৭৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লকমার্কেটে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি টাকার শেয়ার। এই মার্কেটে মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এসব কোম্পানির মোট ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার ৪০ বার হাত বদল হতে দেখা যায়।
লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ পাঁচ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ১১ লাখ ৮২ হাজার টাকার সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের।
এছাড়া জেনেক্সের ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও কোহিনুর কেমিক্যালের ১৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। বিবিএস কেব্লসের ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, মালেক স্পিনিংয়ের ছয় লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
একইভাবে গতকাল ন্যাশনাল টিউবসের পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, পাওয়ার গ্রিডের সাত লাখ ২৯ হাজার টাকা ও রবি আজিয়াটার ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের পাঁচ লাখ ৯২ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকেরর ১১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার লেনদেন হতে দেখা যায়।