নিজস্ব প্রতিবেদক : ধারাবাহিক উত্থানে থাকা পুঁজিবাজার থেকে গতকাল মুনাফা তুলতে দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের। এইদিন সব খাত থেকেই মুনাফা তোলেন বিনিয়োগকারীরা। আর মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে দিন শেষে বেশিরভাগ কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর কমতে দেখা যায়। যে কারণে সূচক হ্রাসের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিক্রির মেজাজে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। যে কারণে প্রায় সব খাতের কোম্পানিতেই ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার পরিমাণ বেশি পরিলক্ষিত হয়, যার জের ধরে একটা সময় এসব শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। তবে বিক্রি চাপ বেশি থাকায় দর সামান্য কমলেও গতকাল প্রায় সব বিনিয়োগকারীই মুনাফা তুলতে পেরেছেন।
খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, গতকাল বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি মুনাফা তোলেন ওষুধ ও রসায়ন খাত থেকে। কারণ দীর্ঘদিন থেকে এ খাতের কোম্পানির শেয়ারের অবস্থা ভালো থাকার কারণে লাভে ছিলেন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা। তারাই গতকাল হাতে থাকা শেয়ার বিক্রয় করেছেন। বেশি বেশি শেয়ার বিক্রয় হওয়ায় দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৮ শতাংশ।
এদিকে ওষুধ ও রসায়ন খাতের মতো বেশকিছু দিন ধরে ভালো অবস্থানে রয়েছে বিমা খাত। যে কারণে গতকাল এ খাতটি থেকেও মুনাফা তুলে নেন অধিকাংশ বিনিয়োগকারী। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান ছিল ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যাংক খাত অল্পদিন ভালো হলেও গতকাল এখান থেকেও মুনাফা তোলেন বিনিয়োগকারীরা। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ১৫ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য খাত থেকেও মুনাফা তুলতে দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের।
এদিকে বিক্রি বেশি থাকায় গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে এক হাজার ৪০৮ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হতে দেখা যায়। তবে অন্যসব দিনের মতো গতকাল বিবর্ণ ছিল ব্লক মার্কেট। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৪২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনে অংশগ্রহণ করে মোট ৩২ কোম্পানি।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৪ পয়েন্ট কমতে দেখা যায়। দিন শেষে প্রধান সূচক স্থির হয় চার হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে। কমতে দেখা যায় ডিএসইর অন্যান্য সূচকগুলো।