Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:34 pm

সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফর ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ২০২০’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবারের পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক রাষ্ট্রদূত সাইদ মোহাম্মদ আল মেহরি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব) মো. খুরশেদ আলমের নাম ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এ বছর এ পদক প্রদানের মাধ্যমে আমাদের কূটনীতিকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে অনুপ্রাণিত হবেন। পাশাপাশি আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর কূটনীতিকরাও তাদের নিজ নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন শিখরে উন্নীত করতে উৎসাহিত হবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকুক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা, যেখানে কোনো ক্ষুধা থাকবে না, দারিদ্র্য থাকবে না, মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর হবে, মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, উন্নত জীবন পাবেÑসেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এটাই হচ্ছে আমাদের বড় অর্জন। বাংলাদেশকে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করব ২০৩০’ সালের মধ্যে। আবার পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।

নিজের জীবনে কিছু চাওয়ার নেই বলে মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমি কোনো কিছুই চাই না। আমার জন্য কিছু করা হোক, সেটাও আমার কাছে কামনা নয়। কারণ আমি জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্য নিয়েই কাজ করেছি। আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই; কারণ আমি তো আমার বাবা-মা, ভাইÑসব হারিয়েছি। কিন্তু আমি একটা সিদ্ধান্তই নিয়েছিÑযত কষ্ট, যত আঘাত, যত বাধাই আসুক, যে স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে।’

ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দারিদ্র্য বলে মঙ্গা বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন পাবেÑসেটাই আমার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য স্থির রেখেই আমার পথ চলা।’

অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।