ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিশ্ব ক্রিকেটের আলোচিত-সমালোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের গত ৬ মার্চের বক্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছিল আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ক্রিকেট খেলার মতো যথেষ্ট শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস নেই তার, এজন্য এখন তার ছুটি প্রয়োজন। এ নিয়ে বোর্ড সভাপতি, টিম ডিরেক্টরও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন বেশ। তবে আজ জানা গেল, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে ছুটিই দিয়ে দিয়েছে বিসিবি। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে আর দেখা যাবে না টাইগার ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটে। আজ বুধবার (৯ মার্চ) এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিসিবি।
এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আজ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে সাকিবের সঙ্গে কথা হয়েছিল আমাদের। তার পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। সাকিব জানায়, সে এখনো শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট নয়। সেজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটাও এড়াতে চেয়েছিল। যেহেতু সাকিবই চাইছে না খেলতে, সেহেতু আমরা তাকে এখন ছুটি দিচ্ছি। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকাগামী বিমান ধরবে টাইগার ক্রিকেটাররা। তার আগে ঘোষিত দুই ফরম্যাটের দলেই নাম ছিল সাকিব আল হাসানের। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সব ফরম্যাটে খেলবেন সাকিব। তবে গত ৬ মার্চ তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে চান না তিনি। শুধু তা-ই নয়, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি ফিট হতে একটা বিরতিও চেয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
তবে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা সফরই নয়, বিসিবি সাকিবকে দীর্ঘ মেয়াদী এই ছুটি দেওয়ায় তিনি খেলতে পারবেন না ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটও। আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে সাকিব ছিলেন মোহামেডান দলে। জার্সি উন্মোচন করেই দেশ ছেড়েছেন তিনি। দুবাই সফর শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সাকিবের। তারপরই বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবে বিসিবি। তবে এটা নিশ্চিত এবার বোর্ড আর ছাড় দিচ্ছে না তাকে!