নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শুধু কভিডের টিকা নয়, সব ধরনের টিকার উৎপাদনের জন্যই বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে। কভিড টিকা প্রত্যেক বছর নিতে হলে টিকা উৎপাদনের চেষ্টা করা হবে। এরই মধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তিতুমীর কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার একটি ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
যেসব এলাকায় কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি যেসব এলাকায় টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মে মাসে কলেরার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব এলাকায় কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি, সেসব এলাকায় টিকা দেয়া হবে। টিকা কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, এবছর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের
উদ্দেশ্যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ভবিষ্যতে পরীক্ষার মান আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ সময়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক প্রফেসর এ এএইচএম এনায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা-সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের মাধ্যমে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের জন্য ৫৪৫ শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। এখানে ১২টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটগুলোয় আসনসংখ্যা এক হাজার ৪০৫টি-সহ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে মোট আসনসংখ্যা এক হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিতের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে জাতীয় মেধায় ৮০ শতাংশ ও জেলা কোটায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে। এবারের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকায়ই রয়েছে ৩১ হাজার ৩৫ জন। এবারের পরীক্ষায় মোট ২৬টি ভেন্যুর জন্য মোট হলসংখ্যা ৯২৯টি।
উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি আসনের বিপরীতে ১২১ জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। আর মোট আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ জন।