Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:12 pm

সব রেললাইন ব্রডগেজ করার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: উন্নত ও আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের সব রেললাইন ব্রডগেজে রূপান্তরের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার রেলভবনে আয়োজিত এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারাদেশকে একগেজে রূপান্তর করার। এ লক্ষ্যে সব মিটারগেজ পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।

কনসালট্যান্সি সার্ভিসের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব কর্মকর্তা চাকরি থেকে চলে যাচ্ছেন, তাদের সমন্বয়ে নিজস্ব কনসালট্যান্সি ফার্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ে কাজ করছে। এর দ্বারা দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে উঠবে। পাশাপাশি দেশের অর্থ বাঁচবে।

অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪৫ সাল পর্যন্ত স্বল্প, মধ্য, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ হচ্ছে। রেলব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একটি রুগ্ণ, ভঙ্গুর রেল ব্যবস্থা পেয়েছি। সেখান থেকে রেল খাতকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রেলের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান এবং যৌথ পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্স গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) জিএম ইউজি আসানো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে মোট ২৩৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজের লক্ষ্যে কনসালট্যান্সি সার্ভিস নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডিঞ্জ সেতু শতবর্ষ পার করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশাপাশি একটি নতুন সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে যাচাইকরণ ও বিস্তারিত নকশা তৈরি, নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা/লাকসাম রুটে কর্ড লাইন নির্মাণ করা, এটি নির্মিত হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ৯১ কিলোমিটার কমে যাবে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-তারাকান্দি-জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্প, যশোর-বেনাপোল রুটে বিদ্যমান লাইনের সমান্তরাল একটি ব্রডগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প, ভৈরব বাজার-ময়মনসিংহ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজ অথবা ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর প্রকল্প, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করণপ্রকল্পসহ মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা তৈরির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।