নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজসেবা অধিদপ্তরের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চাকরি দেয়ার কথা বলে ৫৭ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। গত রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গতকাল দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেয়ার কথা বলে মেহেদী হাসানসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী মো. গোলাম ফারুক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুল হাসান সেলিম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, দুই আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর গেন্ডারিয়া থানায় অভিযোগ করেন চাকরিপ্রার্থী সৈয়দ মেহেদি হাসান। অভিযোগটি দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠানো হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী (স্থায়ী রাজস্ব) পদে ৪৬৩টি পদসহ অন্যান্য পদের জন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে আসামিরা প্রার্থীদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিতে থাকে।
অভিযোগের পর ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে আসামি মো. গোলাম ফারুক ও মাহমুদুল হাসান সেলিমের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। অনুসন্ধানে ঘুষ নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫, ৪২০, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।