Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 5:18 pm

‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরাপদ বয়লার ব্যবহার করুন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্প নিরাপত্তা ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন জোরদারে বয়লার পরিচালকদের ইতিবাচক অবদান রাখার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্প সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্। তিনি বলেন, শিল্প উৎপাদনের সঙ্গে বয়লার জড়িত। বয়লার পরিচালকরা দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে বয়লার পরিচালনা করে শিল্প দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর অবদান রাখতে পারে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিল্প-কারখানায় নিরাপদ বয়লারের ব্যবহার পাঁচ গুণ বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন।

গতকাল মঙ্গলবার শিল্প-কারখানায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় আয়োজিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম শ্রেণির বয়লার পরিচালকদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ পরামর্শ দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান বয়লার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বয়লার পরিচালক পরীক্ষক পর্ষদের সদস্য ও বুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ড. একেএম মঞ্জুর মোর্শেদ, পর্ষদের সদস্য সচিব মো. শরাফত আলী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বয়লার পরিচালক মো. রায়হান কায়সার বক্তব্য রাখেন।

শিল্পসচিব বলেন, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়সহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সংস্থার সেবাদান কার্যক্রম আধুনিক ও গতিশীল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে সেবাদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি সেবা সহজীকরণ এবং সেবাপ্রত্যাশীদের সন্তুষ্টির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্প খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ লাখ লোক কর্মবাজারে আসছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার শ্রমঘন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এ খাতের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নে প্রশিক্ষিত বয়লারদের কার্যকর অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬০ জন প্রথম শ্রেণির বয়লার পরিচালকের হাতে সনদ বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, এ পরীক্ষায় ১৭০ জন আবেদন দাখিল করেছিল। এর মধ্যে লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় ওই ৬০ জন চূড়ান্তভাবে কৃতকার্য হন।