সম্পদের হিসাব গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলা: আইনি পদক্ষেপ নেবেন মোসাদ্দেক আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী মোসাদ্দেক আলীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম গতকাল মামলাটি দায়ের করেন বলে দুদক জানিয়েছে। আর এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন মোসাদ্দেক আলী।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী গত বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যে সম্পদবিবরণী জমা দিয়েছেন, তাতে ১৪৭ কোটি ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩৮ টাকার সম্পদের কথা উল্লেখ রয়েছে। এ সম্পদের মধ্যে ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের অভিযোগ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী জমা দিতে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট মোসাদ্দেক আলীকে নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। ৬ অক্টোবর তিনি ৩৫ কোটি ৭৮ লাখ ১৩ হাজার ৫৩৮ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১১১ কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব কমিশনে দাখিল করেন। এর মধ্যে ঋণ প্রদান ১১ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার টাকা ও দায়-দেনার পরিমাণ ৬৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৮০ টাকা বলে বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সম্পদ বিবরণী নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০০৭-০৮ করবর্ষ থেকে ২০১৬-১৭ করবর্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মোসাদ্দেক আলী সম্মানী, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়, ব্যাংক সুদ, লভ্যাংশ, শেয়ার ব্যবসা থেকে লাভ, ফ্ল্যাট বিক্রি থেকে আয়, ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম, জমি ভাড়া থেকে আয়, ঋণগ্রহণ, মংস্য চাষ ও গরুর খামার থেকে মোট আয় ১০২ কোটি তিন লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং দায় ও ঋণগ্রহণ ৬৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৮০ টাকা ও মোট প্রদর্শিত আয় ১৬৭ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৩ টাকা বলে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত মোসাদ্দেক আলী শেয়ার বিজকে বলেন, দুদকের অভিযোগ ও মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করা হবে। তিনি দেশে ফিরেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।