নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা গতকাল বিডার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ দেশের অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে কৃষি, চামড়া, তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে তৈরি পোশাক খাতের মতো ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও বন্ডেড ওয়ারহাউস সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা চান।
এ সময় চেম্বার সভাপতি সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আট ধাপ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের শিল্প ও বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত হবে। এ সময় দেশের বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুততম সময়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালুকরণ, বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধন ও দ্রুততর কার্যকর করার প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
এছাড়া ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে প্রতিবেশী প্রতিযোগী দেশের মতো অবকাঠামো খাতে জিডিপির ছয় থেকে আট শতাংশ বাজেট বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, বন্ড ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং গ্রিন ফিল্ড অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন।
ডিসিসিআই’র সভাপতি সম্ভবনাময় দেশসমূহ, যেমন দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতি আরও শক্তিশালী করা এবং বন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত ও সহজ করার প্রস্তাব দেন।
চেম্বার সভাপতি বিদ্যমান কোম্পানি আইনে কোম্পানির ঋণ গ্রহণে পরিচালকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বিলোপ, কোম্পানির বিলোপ, একীভূতকরণ, কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি বিশেষত ই-ভোটিং, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহার প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আইনটি সহজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসা পরিচালনা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সরকার বেশকিছু কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নতি করতে হলে শুধু সংস্কার কার্যক্রম চলালেই হবে না, বরং এর সুবিধা ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে করপোরেট করহার কমানো উচিত বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা চেম্বার কর্তৃক গৃহীত ‘আরএনআই (গবেষণা এবং উদ্ভাবন)’ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং আগামী বাজেটে গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে আর্থিক বরাদ্দের আশ্বাস দেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, সহসভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, আন্দালিব হাসান, নূহের লতিফ খান, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, আশরাফ আহমেদ, আরমান হক, মো. জিয়া উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী, এসএম জিল্লুর রহমান, এনামুল হক পাটোয়ারী, মনোয়ার হোসেন, শাহীদ হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।