সম্ভাবনাময় লক্ষ্মীপুরে উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে

লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তার অভাবে জেলায় শিল্প-কলকারখানা অপ্রতুল। সম্ভাবনাময় এ জেলার ব্যবসায়িক সমস্যা ও সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন জেলা চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি শংকর মজুমদার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জুনায়েদ আহম্মেদ

লক্ষ্মীপুরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলুন…
শংকর মজুমদার : এ জেলায় ধান, নারিকেল, সুপারি, পান, ইলিশসহ বিভিন্ন পণ্য দিয়ে ৫০০ কোটি টাকারও উপরে লেনদেন হয়। চরাঞ্চলের জমিতে মহিষ পালন ও বিভিন্ন ফসল আবাদ করে উপকৃত হচ্ছেন কৃষক।

জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারে বড় সংকট কোনটি বলে আপনি মনে করেন?
শংকর মজুমদার : ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসারে উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে। রহমত খালের ওপর সøুইস গেট নির্মাণ, অপরিকল্পিতভাবে ছোট ছোট সেতু নির্মাণ, খালগুলো দখল আর দূষণের ফলে নৌকা ও লঞ্চ সহজে প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া জেলার অবকাঠামোগত দিক অন্যান্য জেলার তুলনায় এখনও পিছিয়ে রয়েছে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।

ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে কেমন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
শংকর মজুমদার: স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার হওয়ার কথা ছিল লক্ষ্মীপুরে সেভাবে হয়নি। জেলা শহরে শুধু কয়েকটি দোকান ছাড়া আর কোনো মিল-কারখানা তৈরি হয়নি। চালকলের অভাবে এ জেলার উৎপাদিত ধান রফতানি করে উত্তরবঙ্গ থেকে চাল আমদানি করতে হয়। সয়াবিন উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো শিল্প-কারখানা জেলায় গড়ে ওঠেনি। ইলিশ ও অন্যান্য মাছে ভরপুর মেঘনা নদী থাকলেও নানা সংকটের কারণে তা আজ হুমকির মুখে। মজু চৌধুরীরহাট সøুইস গেট নির্মাণের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও স্থবিরতা নেমে আসে। নৌবন্দর স্থাপন করা হলেও কাজের অগ্রগতি না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা এখনও নাজুক অবস্থায় রয়েছে। জেলায় সবজি উৎপাদন বাড়লেও হিমাগর না থাকায় কৃষকদের লোকসান হচ্ছে। চিংড়ি পোনা ঘিরে সংরক্ষণাগার গড়ে তোলা প্রয়োজন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০