নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফিরে যাওয়া যেন টেকসই হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেভাবে কাজ করতে হবে। নিজ ভূমিতে ফেরা তাদের মৌলিক অধিকার। এ সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিতে হবে; টেকসই সমাধানে যে উদ্যোগ প্রয়োজন, তা নিতে হবে। ফলে বারবার বাংলাদেশকে ভুগতে হবে না।
গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা, দ্য নিড ফর জাস্টিস অ্যান্ড রাইটস ইন রাখাইন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অস্ট্রেলিয়ান লিবারেল পার্টির সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিলিপ রুডোক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। মানবাধিকার ও শিক্ষা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, পুরো বিশ্বের জন্য রোহিঙ্গা সংকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সংকট সমাধান করতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এ ইস্যু ফোকাস করা।
তিনি বলেন, ‘চীন খুবই ক্রিটিক্যাল। চীন একদিকে রাখাইনে বিনিয়োগ করার কথা বলছে, চীনের প্রেসিডেন্টও সম্প্রতি সফর করেছেন। আরেকদিকে বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ক্রিটিক্যাল অবস্থানে রয়েছে। চায়না-রাশিয়াসহ সব পক্ষকে নিয়ে কাজ করলে সমাধান হবে।’
বার্মিজ রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকের কো-ফাউন্ডার তুন খিন বলেন, ‘আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই। সম্মানের সঙ্গে যেতে চাই। মিয়ানমারকে অবশ্যই নাগরিকত্ব দিতে হবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে। যখন তারা নাগরিকত্ব দেওয়া নিশ্চিত করবে, তখনই রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বিষয়টির টেকসই সমাধান প্রয়োজন।’
আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অরগানাইজেশন সিডনির ফরেন অ্যাফেয়ার কমিটির সভাপতি মাইন্ট হ্লা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে, এজন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। অস্ট্রেলিয়া সরকারও আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। আমরা আমাদের ভূমিতে ফিরতে চাই। এটা আমাদের অধিকার। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে দ্রুত সুরাহা চাই।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আমেনা মহসিন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ফারাহ কবির প্রমুখ।