শামসুন নাহার: ১৯৬৬ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইন্দিরা গান্ধী। তার বাবা পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। আকস্মিকভাবে তিনিও চলে গেলেন পরপারে। এরপর মসনদে বসেন ইন্দিরা। এর আগে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তাছাড়া কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতা ইন্দিরাকে বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবেই দেখতেন। অবশ্য রাজনীতির ঘোলাজলে অনেক কিছুই তার চোখ এড়িয়ে যায়। অনেক অযোগ্য লোককে বিশ্বাস করেছেন। দলের মধ্যে এমনকি নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যেও যে কিছু বিষফোঁড়া ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, তা টের পাননি ইন্দিরা। আবার অনেক সময় টের পেলেও সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ঊনসত্তরে ভারতের অর্থনীতিতে যে ব্যাপক পরিবর্তন এলো তার মধ্যে একটি আইনের সংশোধন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর আগে কোম্পানি আইনের একটি ধারা অনুসারে যে কোনো দলের নেতাদের রাজনৈতিক অনুদান দেওয়ার নিয়ম ছিল কোম্পানির ডিরেক্টরদের। এসব অনুদান দলের তহবিলে জমা করার নিয়ম, অর্থাৎ এর মোটামুটি একটা হিসাব ছিল। ঊনসত্তরে এটি রদ হলো। এতে কালো টাকার ব্যবহার বেড়ে যায় ব্যাপক হারে। ব্যবসায়ীরা তাদের বিশেষ স্বার্থ (স্পেশাল ইন্টারেস্ট) হাসিলে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে নেতাদের কাছে ধরনা দিত। এত দিন যা ছিল আইনের মধ্যে সীমিত, এখন সেক্ষেত্রে অবাধ বেআইনি পথ খুলে গেল। নেতাদের হাতে কালো টাকার পাহাড়। বিরাট এ ফান্ডের কোনো হিসাব নেই, কোনো ট্যাক্স কাটা নেইÑকিন্তু কীভাবে আসত এত হিসাবছাড়া অর্থ? উত্তর খুব সোজা। আমদানি-রফতানিতে দাম বেশি-কম দেখিয়ে কাগজে-কলমে বেশি মুনাফা দেখিয়ে আইনের চোখে সব পরিষ্কার রাখা হয়। যে কোনোভাবে একেকটা ব্যবসার লাইসেন্স পাওয়া মানেই দীর্ঘমেয়াদি লাভ। তাই এর জন্য ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত ‘বিনিয়োগ’ করতেও রাজি।
ইন্দিরার অফিসে তখন সবচেয়ে বড় দালাল হলেন তার ব্যক্তিগত সচিব যশপাল কাপুর। প্রচণ্ড ধূর্ত এ লোকটির প্রতিটি কথায় যেন মাখন ঝরে পড়ে! যশপাল বোঝাতে চাইতেন যেন ইন্দিরার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত। এভাবে ইন্দিরার বিশ্বাসভাজনও হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে চায়ের দোকানেও লোকে ঠাট্টা করে বলত, যশপাল নাকি সাদা কাগজেও ইন্দিরার সই নিয়ে আসতে পারেন! এ অবস্থায় রমেশ থাপার নামে একজন আমলা সামনে এসে দাঁড়ালেন। তিনি ঠিক করলেন যশপালের দালালগিরি ফাঁস করতেই হবে। তিনি গিয়ে ইন্দিরাকে সরাসরি বললেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার নামে পাইকারি হারে দুর্নীতি (হোলসেল করাপশন) চলছে। আর এর অন্যতম খেলোয়াড় হলেন যশপাল কাপুর। তার হাত দিয়ে কালো টাকার ফান্ড হচ্ছে। হাসাহাসির পর্যায়ে চলে গেছে ব্যাপারটা। এভাবে তো চলতে পারে না।
ইন্দিরা শুনে ভীষণ রেগে গেলেন। বললেন, আপনি জানেন, ঘুষের একটি পয়সাও আমি ছুঁই না।
Ñতা না করতে পারেন, কিন্তু সবাই তো জানে আপনার নির্দেশেই হচ্ছে সব। আপনার কথায়ই সবাই এভাবে কালোটাকার পাহাড় গড়ছে।
ইন্দিরা আসলেই এ পলিসির কথা জানতেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যশপালকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তার বদলে নিয়োগ দেওয়া হলো যশপালেরই ভাগ্নে আর কে ধাওয়ানকে। তিনি আবার তার মামার চেয়েও কয়েক কাঠি সরেস। ফলে যশপালের অবর্তমানে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের কোনোই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া যশপাল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে না থেকেও ভাগ্নে ধাওয়ানের বদৌলতে অনুদান ব্যবসাটা নির্বিবাদে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। উপরন্তু ধাওয়ান অল্প সময়েই যশপালের চেয়েও বেশি ক্ষমতা করায়ত্ত করে ফেলেন। সুতরাং বলা যায়, মামা-ভাগ্নে মিলেই ভারতের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাণিজ্যে আধিপত্য করছিলেন।
এ অবস্থায় আম্বানিকে যশপালের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মুরলী। আম্বানিও তার সহজাত দক্ষতায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন যশপালের সঙ্গে। কেবল সম্পর্ক নয়, বলতে গেলে যশপালকে একপ্রকার কিনে ফেলেন আম্বানি। এভাবে সময়ের সঙ্গে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়। তাদের মধ্যে কংগ্রেসের গান্ধীবাদী নেতারাই বেশি। অন্যদিকে ইন্দিরার সমাজবাদী নীতি তার পছন্দ নয় মোটেই। এছাড়া তার বন্ধুতালিকায় জনতা পার্টির অটল বিহারি বাজপেয়ি ও বামদলীয় নেতা চন্দ্রশেখরও ছিলেন। মূলত সব দলেই আম্বানি মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এতে চমৎকার একটি ভারসাম্য তৈরি হলো। অর্থাৎ শাসনক্ষমতা যে দলের হাতেই থাকুক, তার লাইসেন্স আটকাবে না।
সব নেতাকেই যে কেবল টাকা দিয়ে বাগে এনেছেন আম্বানি, তা কিন্তু নয়। ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে তার একটি ভিশন ছিল। অন্য যে কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার চিন্তার ধরন অনেক দূরদর্শী। অন্তত সেভাবেই তিনি নিজেকে উপস্থাপন করতেন। ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে তার ভাবনা মন্ত্রী-আমলা থেকে ব্যাংক মালিকÑযে কাউকেই মুগ্ধ করতে পারত। মুগ্ধতা ছাড়াও আরও অনেক উপায়ে মানুষকে বশে আনতেন তিনি। নেতা, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা বা ব্যাংকারদের কোনো দুঃসময়ের খবর পেলেই হলো কোথা থেকে হাজির হয়ে যেতেন। অফিসারের বাবার জন্য অবসর-পরবর্তী চাকরি, নেতার ছেলের জন্য ব্যবসার সংস্থান কিংবা ব্যাংকারের পরিবারের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়ে চিরতরে কৃতজ্ঞতার ঋণে বেঁধে ফেলতেন। এ এক অভিনব পলিসি।
আরও এক উপায় ছিল তার। এটাকে বলা যায় ‘সহানুভূতি বাণিজ্য’। নিজেকে তিনি সুবিধাবঞ্চিত ব্যবসায়ী শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করতেন। তার যুক্তিটা হলো, গোটা ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিকয় ধনাঢ্য পরিবার করায়ত্ত করে রেখেছে। সেখানে তার মতো দরিদ্র ঘরের ছোট ব্যবসায়ীরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে কীভাবে এগোবে? নতুন উদ্যোক্তা তৈরি না হলে দেশের অর্থনীতি বাড়বে না, তাই বাড়তি সুযোগ তাদের প্রাপ্য। অকাট্য যুক্তি। আবার এ কথায় যথেষ্ট যুক্তিও রয়েছে। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ আর কে হাজারি পরিকল্পনা কমিশনে একটি প্রতিবেদন পাঠান। তাতে বলা হয়েছে, ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৬Ñএ দশ বছরের মধ্যে ভারতের শিল্প বিনিয়োগ লাইসেন্সের ২০ শতাংশই পেয়েছে বিড়লা গ্রুপ। টাটা তখন প্রতিযোগী বড় গ্রুপ। টাটার ধীরস্থির কিন্তু শোভনীয় বৃদ্ধির বিপরীতে বিড়লাদের রাতারাতি বেড়ে ওঠা চোখে লাগার মতোই। আম্বানি এ ইস্যুকে ব্যবহার করতেন। শেষমেশ অবশ্য ব্যবসায়ী জীবনে অনেকটা বিড়লাদের পথই অনুসরণ করেছিলেন তিনি। শুরুর দিকে রাঘববোয়ালদের সাম্রাজ্যে নিজের স্থান তৈরি করতে অনেক চাল চালতে হয়েছে। আবার ভাগ্যও তার পক্ষ নিয়েছে।
আম্বানির অন্যতম বড় পৃষ্ঠপোষক ছিল পাই পরিবার। এ পরিবারের টিএ পাই নামকরা ব্যাংকার ও রাজনীতিবিদ। কর্ণাটক রাজ্যের মণিপাল গ্রামে পাই পরিবারের শিকড়। মেধা ও জ্ঞানের সমঝদার হিসেবে নাম আছে তাদের। ভারতের সবচেয়ে নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটিই পাইদের হাতে প্রতিষ্ঠিত। ১৯২৫ সালে তারা প্রতিষ্ঠা করেন সিন্ডিকেট ব্যাংক। ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকে পরিণত হয় এটি। এ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এইচপি রাওয়ের মাধ্যমে টিএ পাইয়ের সঙ্গে পরিচিত হন ধীরুভাই। তখন ব্যাংকটি বৈদেশিক বিনিময় কর্মকাণ্ড উন্নয়নে কাজ করছিল। ফলে তরুণ এ ট্রেডারের আমদানি-রফতানির কাজে সম্পৃক্ত হয় ব্যাংকটি। শুরুটা এভাবেই। ক্লায়েন্ট হিসেবে পাইদের কাছে আম্বানির ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’ ছিল চমৎকার। উদ্যমী, আন্তরিক ও বুদ্ধিদীপ্ত একজন ব্যবসায়ী আম্বানি। তিনি নিজের লক্ষ্যে অবিচল। উদ্দেশ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজে লেগে থাকা তার স্বভাব। নিজের স্বপ্ন ও যোগ্যতার ওপর আস্থা তার অবিচল। নিজের বিশ্বাস অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতেও পারদর্শী তিনি। কোনো বিজনেস আইডিয়া বা প্রপোজাল নিয়ে তার দূরদর্শী চিন্তা ও কৌশল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করতে জানেন। এতে ‘ট্যালেন্ট হান্টার’ পাইদের সুনজর অর্জন করেন আম্বানি। ম্যানুফ্যাচারিং প্লান্ট স্থাপনের পর থেকে পুরোদমে অর্থায়ন করেছে সিন্ডিকেট ব্যাংক। নারোদা কারখানার প্রথম চারটি নিটিং মেশিন কেনার জন্য দেড় লাখ টাকা ঋণ দেয় ব্যাংকটি। পাইদের কাছে যোগ্যতার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি। সেরা ইকুইপমেন্ট ও মেধাবী লোকবল বিনিয়োগ করেছেন। পণ্যের মান নিয়ে আপস কখনোই নয়। আর লেনদেনের ব্যাপারেও কঠোর বিশ্বস্ততা বজায় রেখেছেন। পাইদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় অনুদান দিয়েছেন। পাইয়ের ভ্রাতুষ্পুত্র রামদাস পাই আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফেরার সময় বোম্বে এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানাতে নিজে ছুটে গেছেন। প্রথম পরিচয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই, অর্থাৎ ষাটের দশকের শেষের দিকে টিএ পাই ও আম্বানির ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি হয়। বন্ধুত্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে টিএ পাই তার নিজের ব্রিফকেসে সবসময় বিমল কাপড়ের কয়েকটি নমুনা রাখতেন এবং সুযোগমতো লোকেদের দেখাতেন। অর্থায়নকারী ও সেবাগ্রহীতার সম্পর্ক কোন পর্যায়ে গেলে এটি সম্ভব হয়! পরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব ইন্ডিয়াও (আইসিআইসিআই) আম্বানির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ানম্যান ছিলেন গুজরাটের হরকিষাণ দাস পারেখ। সুতরাং বলা যায়, ধীরুভাই যে কেবল ভারতের রাজনৈতিক অবক্ষয় ও দুর্নীতির সুযোগ নিয়েছিলেন, তা নয়। তার চিন্তাধারা, উচ্চাকাক্সক্ষা ও আত্মবিশ্বাস দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার নীতিগত একাত্মতা অনুভব করেছেন। তবে মানতেই হবে, চিন্তা ও প্রকাশভঙ্গি দিয়ে মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাই তার সাফল্যের পথকে সুগম করেছে।
ঊনসত্তরের জুলাইয়ে অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে সিন্ডিকেট ব্যাংকও রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেন ইন্দিরা গান্ধী। তরুণ ও সংগ্রামী উদ্যোক্তাদের সাহায্য করার নীতি টিএ পাইকে দারুণ জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। ইন্দিরা হয়তো এ ইমেজটিই অর্জন করতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টোটা। রাষ্ট্রায়ত্ত করার পর ভারতের ব্যাংকব্যবস্থায় চরমভাবে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটে। ব্যাংকের পরিবেশই নষ্ট হয়ে যায়। ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে মেধা ও সম্ভাবনার পরিবর্তে রাজনৈতিক যোগাযোগই মুখ্য হয়ে ওঠে। ঋণখেলাপির সংখ্যা বাড়তে থাকল। এভাবে আশির দশকের শেষদিকে দেখা গেল, মূলধনের চেয়ে কুঋণের পরিমাণ বেশি অনেক ব্যাংকের। যা হোক, সিন্ডিকেট ব্যাংক কেড়ে নেওয়ার সান্ত¡নাস্বরূপ ইন্দিরা গান্ধী টিএ পাইকে জীবন বীমা করপোরেশনের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মূলনীতির খসড়া প্রণয়নের দায়িত্ব দেন। পরে রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হন পাই। ১৯৭৩ সালে ইন্দিরার ক্যাবিনেটে সদ্যগঠিত ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। পাশাপাশি ইস্পাত ও খনি মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭৪ সালে ইন্ডাস্ট্রি ও সিভিল সাপ্লাইজ মন্ত্রালয়ের দায়িত্ব পান। দেখা যাচ্ছে, সত্তরের দশকজুড়ে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এমনকি ১৯৭৫-৭৭ সালের জরুরি অবস্থায়ও এর হেরফের হয়নি। (রাজনীতি অবশ্য ব্যবসার চেয়েও জটিল ব্যাপার। অনেকে বলেন, পাইয়ের মেধার বাজে রকম অপচয় করেছেন ইন্দিরা। সরকারের অংশ না হয়ে ব্যবসায়ী হিসেবেই তিনি আরও সফল হতে পারতেন।) সুতরাং, ভি সুব্রামনিয়ম ও অন্যান্য পাইপলাইন ছাড়াও ক্ষমতার কেন্দ্রে পাইয়ের মতো বন্ধু ছিল বলেই ধীরুভাই যে কোনো পণ্য আমদানির বা কারখানা স্থাপনের লাইসেন্স পেতে পারেন।