নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ না করায় প্রতি ১০ জনে একজন অসুস্থতায় ভুগছেন। বাজারে বিক্রি হওয়া সয়াবিন তেলই আমাদের সর্বনাশ করেছে। গত শতকের আশির দশকে অল্প পরিমাণে সরষের তেল খেতাম। কোনো অসুবিধা হতো না। আর এখন কত অসুবিধা হয়। এটার জন্য সয়াবিন তেলই দায়ী।’
গতকাল রোববার রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসেচতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভাগীয় কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকার ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করে। এর পর থেকেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।’
তিনি বলেন, ‘১৮ বছর পর্যন্ত মানবদেহে বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের বুদ্ধিমত্তার সেল গঠন হয়। তাই পরিমিত ও পুষ্টিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একার পক্ষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব না। এর জন্য দরকার জনসচেতনতা, সবার অংশগ্রহণ।’
কর্মশালায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুল কাইউম সরকার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম এবং ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম সহজে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।
