Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:46 pm

সরকারকে চোখে সরষে ফুল দেখতে হবে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার চোখে সরষে ফুল দেখতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিবিদেরা বলছেন প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে, ফুঁসে উঠবে এবং সমস্যাই তাদের পতন ত্বরান্বিত করবে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

 বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সরকারের দুর্নীতি দায়ী এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এ সমস্যা যে সৃষ্টি হবে, তা আমরা বহু আগেই বলছি।’ প্রথমত সঠিক

পথে সরকারের পরিকল্পনা নেই। দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটা জায়গা না, সব জায়গাতেই তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি করা। এ দুর্নীতি পয়েন্ট অব নো রিটার্নে চলে গেছে। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সবে তো শুরু। এটা আজকের ব্যাপার না, অর্থনীতির ইতিহাস। একটা সংকটে ভবিষ্যতে কী হবে, সে বিষয়গুলো বুঝে আপনাকে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ভাগ্য আমাদের, আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী এতই পাওয়ারফুল যে তারা করোনাকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন, অর্থনীতির সমস্যাগুলোও সব সমাধান করে ফেলেছেন। তারা পারেন না এমন কোনো কাজ নেই এবং সেই বিশ্বাসে তারা যা খুশি, তা-ই করে গেছেন। এখন তো শুরু হয়ে গেছে আসল খেলা। আসল সমস্যার শুরু হয়ে গেছে এবং সমস্যাই তাদের পতন ত্বরান্বিত করবে।’

বিদ্যুতের লোডশেডিং প্রসঙ্গে অতীতে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপি সরকারের প্রচণ্ড সমালোচনার কথা উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এ অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সবচেয়ে বড়াই করে বলেছিল তারা বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবে। এটি করতে গিয়ে তারা কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ক্রয় করেছিলেন বিনা টেন্ডারে এবং একটা ‘অসম্ভব’ চুক্তির মাধ্যমে। এমনকি তারা বিষয়টিতে ইনডেমনিটি দিয়েছে, এ বিষয়ে কাউকে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।

‘অসম্ভব’ চুক্তির কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডিজেলচালিত কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে সরকারকে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে। উৎপাদন থাকুক বা না থাকুক, সরকার তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিক আর না নিক, তাদের টাকা দিতেই হবে। যার ফলে আজ দেখা যাচ্ছে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই তাদের ৭৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হয়েছে।

বর্তমান লোডশেডিংয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখন যে ডিজেলচালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকলেও এরা পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখলাম বছরে ১ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে কী প্রমাণিত হয়। শুধু দুর্নীতি করার জন্য, তারা (সরকার) উপকৃত হয়েছে এমন বিশেষ কোম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য এটি করা হয়েছে।

সভায় সম্প্রতি নড়াইলে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ছাড়া ঢাকা ওয়াসা আবারও পানির দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ৫৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।