শেয়ার বিজ ডেস্ক: এবার বান্দরবানের লামায় মিলল সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিশাল সম্পত্তির খোঁজ। ক্ষমতায় থাকাকালে প্রশাসনের সহায়তায় জালিয়াতি করে স্ত্রীর নামে কিনেছেন একশ একরের বেশি জায়গা। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জবরদখল করেছেন আরও অন্তত ৪০০ একর জমি। হাসিনা সরকারের পতনের পর, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গাছ-গাছালিতে ঢাকা ছায়াঘেরা বিশাল জমি। আছে ছোট ছোট কয়েকটি টিনশেড ঘরসহ বাংলো বাড়ি। একেবারে সুনশান নীরবতা। বান্দরবানের লামায় ৫০০ একরের এই সম্পত্তির মালিক সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সরই ইউনিয়নে স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে ক্রয় করেন ১০০ একরের বেশি জায়গা। আর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখল করে নিয়েছেন আশপাশের অসংখ্য মানুষের জায়গা। শুধু তাই নয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের টাকায় যাতায়াতের জন্য রাস্তা, বৈদ্যুতিক সংযোগ, সীমানা পিলার, মাছের প্রজেক্ট, গবাদি পশুর খামারসহ তৈরি করা হয়েছে বিশাল বাংলো বাড়ি।
স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া পার্বত্য এলাকায় জায়গা কেনার বিধান না থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের সহায়তায় সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে স্ত্রীর নামে এসব জায়গার রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ভূমি অফিসের রেকর্ড রুমে তার নামে রয়েছে অসংখ্য জায়গার জমাবন্দি। সম্প্রতি এসব জায়গার কাগজ দিয়ে নিজ নামে নিয়েছেন রাজার সনদও। ভুক্তভোগীরা এবার জায়গা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত ৫ থেকে ৭ বছর ধরে তারা চাষবাসও করতে পারেননি। প্রভাব খাটিয়ে তাদের জায়গা নিয়েছেন সাবেক এ মন্ত্রী। তারা এখন তাদের জায়গা ফেরত চান। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান ভুক্তভোগীদের অনেকে।
এদিকে আইনগতভাবে জায়গা কেনার বিধান না থাকলেও ক্ষমতার প্রভাবে চাপে পড়ে সনদ দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান লামা সরই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস।
তবে অবৈধ ও বেআইনিভাবে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তারা নিবন্ধনের কাজে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বান্দরবান জেলা ও দায়রা জাজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু জাফর।
২০১৯ সালে তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকারমন্ত্রী থাকাকালে স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে ক্রয় করেন ১০০ একরের বেশী জায়গা। এরপর একে একে ক্রয় এবং দখল করেন কয়েশ একর জমি।
