সরকারি কর্তাদের ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ সভা-সেমিনারে তাদের দায়িত্বের সীমারেখা অতিক্রম করে বক্তব্য রাখছেন, যা মোটেই শোভনীয় নয়। শুধু সরকারি কর্মকর্তা নন, কিছু দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতাও এমন ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি। গতকাল সকালে ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

রাজনীতিবিদ কিংবা সরকারি কর্মকর্তা সবারই একটি সুনির্দিষ্ট সীমারেখা ও আচরণবিধি আছে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, সবার এ সীমারেখা মেনে চলা অত্যাবশ্যক। কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি, তিনি রাজনীতি কিংবা প্রশাসনের যে-ই হোন, দায়িত্বহীন বক্তব্য দেয়া সমীচীন নয়। আমাদের কারও কারও অতি-উৎসাহী এবং বাড়তি কথা বা বক্তব্যে জনমনে ভুল মেসেজ যেতে পারে, যা দেশের জন্য মোটেই শুভ নয়।

৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবমুখরতা, তা ধরে রাখতে তিনি সবাইকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যাতে এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ধরে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ করা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করা বিএনপির এখন প্রতিদিনের রাজনৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছেÑএ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ ও দেশের জন্য তারা কিছু করতে না পারলেও মিথ্যাচার আর অপপ্রচারের কাজটি সুনিপুণভাবে করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত বিচারে এসব অপপ্রচার বিএনপির বিরুদ্ধেই যাবে এবং যাচ্ছে, যা তারা এখনও বুঝতে পারছে না। এসব সত্য বিএনপি যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

‘বিচার ব্যবস্থা নাকি দলীয়করণ করা হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে’বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব সেই পুরোনো ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তাদের সমালোচনার এসব পুরোনো হাতিয়ার এখন ভোঁতা হয়ে গেছে। এসব বিএনপির ‘ধারাবাহিকভাবে কল্পিত অভিযোগের চর্বিত-চর্বণ মাত্র’ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করছে বলে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিচারের রায় বিএনপির পক্ষে গেলে বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন, আর বিপক্ষে গেলে বলে সরকারের হস্তক্ষেপ। এসব তাদের পুরোনো অভ্যাস। বিএনপির নীতি হচ্ছে, বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতে পারত, আর হারলে বলে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ কমিশন মানে হচ্ছে নির্বাচনে জয়লাভের গ্যারান্টি প্রদান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০