শেয়ার বিজ্ ডেস্ক: সরকারি কেনাকাটায় নাগরিকদের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে দিয়ে সরকারি উন্নয়ন কাজে নাগরিকদের সরাসরি যুক্ত করা হবে। ফলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, কাজের মান এবং অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার ও অপচয় রোধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল বলরুমে আইএমইডির সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। খবর দ্য রিপোর্ট।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. সুলতান হাফিজ রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিডির কর্মকর্তা ড. মির্জা এম হাসান।
সেমিনারে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারি কেনাকাটায় জনগণের সম্পৃক্ততা একটি নতুন ধারণা। জনগণের অর্থ কোথায়, কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা জানার অধিকার তাদের আছে। এতে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা আরও এগিয়ে যাবো। তিনি বলেন, জনগণের অর্থ যাতে অপচয় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য দেশপ্রেম প্রয়োজন। তবে তদারকির কাজে যুক্ত নাগরিক কমিটিকেও এক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকিউরমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়। প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে অর্থের অপচয় হয়। যদি এক শতাংশ অর্থের অপচয়ও রোধ করা যায়, সেটির পরিমাণ হবে ১০০ মিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে দুই হাজার প্রাইমারি স্কুল কিংবা এক হাজার কিলোমিটার পল্লি সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব। এজন্য কেনাকাটার ক্ষেত্রে জনগণের সম্পৃক্ততা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রবন্ধে কেনাকাটায় নাগরিকদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে। এগুলো যদিও অংশগ্রহণকারী নাগরিকরা উদ্বুদ্ধ হয়ে মনিটরিং করছে, তবে ধারণাটি নতুন হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়ায় এখনও স্বাভাবিকতা আসেনি। নাগরিক কমিটির গ্রহণযোগ্য কমিটির অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের সামাজিক মর্যাদার ওপর নির্ভরশীল।
Add Comment