সরকারি গাড়ি কোথায় যায় হিসাব হবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি গাড়ি প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, প্রত্যেক প্রকল্পে গাড়ি কেনা হয়, এসব গাড়ি যায় কোথায়? সারাদেশে সরকারি গাড়ির একটা হিসাব করা হবে। গতকাল সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিকাল ৩টায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি এক কর্মকর্তা তিনটা গাড়ি ব্যবহার করেন। নিজের গাড়ি টেকে বেশি দিন, কিন্তু সরকারি গাড়ি দ্রুত নষ্ট ও অপচয় হয়। সারাদেশে কত গাড়ি আছে তার একটা হিসাব করব। শিগগির আমরা তথ্য জোগাড় করব। কত গাড়ি কীভাবে ব্যবহার হয়, কারা ব্যবহার করছে, সব হিসাব হবে। কোনো গাড়ি নষ্ট হলে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয় ক্ষতিয়ে দেখা হবে।’ কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে এ উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ কম, সে কারণে কর্মসংস্থান কম। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ কম হচ্ছে।
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি কমেনি তবে রাজনৈতিক অপচয় কমানো হবে।
জাপানি ঋণ নিরাপদ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, জাপানি ঋণে বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে হয় না। জাপানের প্রকল্পে সুদও কম।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, চলতি প্রকল্পগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কম হওয়ায় প্রকল্প ধীরগতিতে এগুলোর অর্থপ্রবাহ বাড়বে না। অর্থপ্রবাহ বাড়াতে আগের প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে। নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নিতে হবে। তবে চলমান প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির আগে এর ব্যয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা গাড়ি কেনার চেয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, পার্ক ও লাইব্রেরি নির্মাণ, জলাধার তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। এতদিন সরকারি প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে কতগুলো গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলো কোথায় আছে, কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে, সব খতিয়ে দেখবে সরকার। প্রকল্প শেষ হলে গাড়িগুলো কেন আর খুঁজে পাওয়া যায় না, সবকিছু যাচাই করা হবে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের কাজ টাঙ্গাইল পর্যন্ত হয়ে স্থবির হয়ে আছে। সেখানে যথেষ্ট বিদেশি অর্থায়ন আছে। সুদের হারও কম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০