Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:38 am

সরকারি চাকরিতে শিগগির শূন্য পদ পূরণের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের বয়সে ছাড়ের ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে শূন্য পদ শিগগির পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোয় এ নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ১৯ আগস্ট এ বিষয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছিল।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোয় নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।

গতকালের চিঠিতে বলা হয়, নানা ক্যাটেগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) প্রবেশকালে সর্বোচ্চ বয়সসীমা অতিক্রান্ত প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৯ আগস্ট এক চিঠি দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে, সেগুলোয় আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল সেখানে। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়ে গেছে, তারাও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন। সব মিলিয়ে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় পাচ্ছেন তারা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, ‘এ অবস্থায় বিভিন্ন ক্যাটেগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হলো।’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের প্রান্তসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়ানোর দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রার্থীরা রাজপথে রয়েছে, তবে স্থায়ীভাবে তা বাড়াতে রাজি নয় সরকার।

এছাড়া মহামারির মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকায় যারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের জন্য গতবছরও এক দফা সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেপ্টেম্বরেও তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়।

মহামারির মধ্যেই এ বছর তিনটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হলেও অন্য চাকরির সার্কুলার খুব বেশি হয়নি। ফলে চাকরির বাজারের অবস্থাও খুব বেশি বদলায়নি।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।

গত বছর জুলাইয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৮৪টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ জন কর্মরত ছিল, ফাঁকা ছিল তিন লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৮টি পদ। ফাঁকা এসব পদের সংখ্যা ওই সময়ের মোট পদের ২১ দশমিক ২৭ শতাংশ।

মহামারির মধ্যে সেসব পদ পূরণের কাজটি অনেকটাই থমকে আছে। গত বছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরে কিছু প্রক্রিয়া শুরু হলেও সংখ্যায় তা সামান্য।