Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 7:30 pm

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা পর্যায়ের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকার।

এবার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয়ও অনলাইনে আবেদন এবং কেন্দ্রীয় লটারি অনুষ্ঠিত হবে। উভয় ক্ষেত্রে অনলাইনে ২৫ নভেম্বর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে ৮ ডিসেম্বর। তবে সরকারি মাধ্যমিকে লটারি ১৫ ডিসেম্বর এবং বেসরকারির ক্ষেত্রে লটারি হবে ১৯ ডিসেম্বর। উভয় ক্ষেত্রেই আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১১০ টাকা।  

গতকাল অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।

অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ২৫ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে দেয়া যাবে।

ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে।

এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।

ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।

২০২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজ নিজ ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ নিজ ভর্তি কমিটির উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া করা ব্যতীত অন্য কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।

এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তানসংখ্যার সমসংখ্যক আসন ওই প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তির উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তির উপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরতদের সন্তান ভর্তির যে দুই শতাংশ কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল, তা তুলে দেয়া হয়েছে।

সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন আগামী ১৫ ডিসেম্বর অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।