সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে মিডল্যান্ড ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিলের অব্যবহƒত অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড। এজন্য কোম্পানিটি বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেবে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি তাদের নাম পরিবর্তন করবে; যা ওই একই সভায় অনুমোদন নেয়া হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংকটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করে। আর এই উত্তোলিত অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছিল ব্যাংকটি। তবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতের জন্য বরাদ্দ থাকা তহবিলের মধ্যে ৪৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭৬ টাকা অব্যবহƒত রয়েছে। আর ওই অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। অন্যদিকে পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির নাম ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড’ পরিবর্তন করে ‘মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি’ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ আগস্ট, বিকাল ৪টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আহ্বান করেছে। আর এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। আর গত বছরের তুলনায় প্রথমার্ধে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ২১ পয়সা বেড়েছে। আর চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে আট পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৫ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯১ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় তিন টাকা ৩৩ পয়সা ছিল।

ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ২০২৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হয়েছে। কোম্পানির এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫৩ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং বাকি ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ  (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ২২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ  (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৫২ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০