সরকারি সেবায় অতিরিক্ত ফি, দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি সেবা নিতে অতিরিক্ত ফি দিতে হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন পরিষদের চেয়ারম্যানও। আর অতিরিক্ত ফি’র ভাগ পাচ্ছেন ইউপি সচিব। গতকাল নোয়াখালীর সেনবাগে এক অভিযানে এসব তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সমন্বিত জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সুবেল আহমেদ জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর সুরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত ফিয়ের বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ ছিল। বিভিন্ন সেবার জন্য তিনি সরকারের নির্ধারিত ফিয়ের অতিরিক্ত ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন।

সুরঞ্জন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, অতিরিক্ত টাকা থেকে কিছু টাকা তিনি নেন। বাকি টাকা ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের চা-নাশতা, সচিবের মাইজদী থেকে ইউনিয়ন পরিষদে আসা-যাওয়ার খরচ, কম্পিউটারের মেরামত ও কাগজ কেনার বিল প্রভৃতি কাজে ব্যয় করেন।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল ভূঁইয়া অবগত রয়েছেন। তার দাবি, উদ্যোক্তা সেন্টারের মনিটর, প্রিন্টার, ইন্টারনেট বিলের খরচ সরকারিভাবে বহন করা হলেও কম্পিউটারের সিপিইউ তার নিজের।

দুদক সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনাকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।

সুবেল আহমেদ জানান, মূলত সুরঞ্জন শীল কেশারপাড় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের একজন উদ্যোক্তা। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবু তাহেরের অথরাইজড ইউজার আইডি ব্যবহার করছেন। সচিবের ইউজার আইডি ব্যবহারের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন রয়েছে বলে তার দাবি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০