Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 11:45 pm

সরকারি হাসপাতালে কাক্সিক্ষত সেবা পাবে না, তা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রত্যেক রোগীর সঙ্গে তিন থেকে পাঁচজন করে ভিজিটর দিনে, এমনকি রাতেও হাসপাতালে অবস্থান করেন। এতে হাসপাতালে মূল রোগীদের সেবা পাওয়া বিঘিœত হয়।

তিনি বলেন, এর মানে হলো, হাসপাতালের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ও নার্সদের ঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। এজন্যই রোগীরা সঙ্গে করে একাধিক অ্যাটেনডেন্ট আনছেন ও রাখছেন। সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষ কাক্সিক্ষত সরকারি সেবা পাবে না, তা চলতে পারে না। হাসপাতালে যার যা ডিউটি, তাকে সেটিই করতে হবে। তা না হলে নির্দিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দেশের সব জেলার সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক একটি বিশেষ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালের নার্সদের ঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের নিজ নিজ কাজে অবহেলার জন্যই হাসপাতাল পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্ন হচ্ছে না, রোগীদের সঙ্গে থাকা লোকেদের ভিড় থামানো যাচ্ছে না, দালালদের দৌরাত্ম্য কমানো যাচ্ছে না। ফলে হাসপাতালের সেবার মানও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নেয়া যাচ্ছে না।

দেশের মানুষের সেবার মান বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিদিন সারাদেশে অন্তত ১০ লাখ সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে সেবা নিতে আসে। ১০ লাখ মানুষকে সেবা দিতে সরকারি হাসপাতালও করা হয়েছে জেলা শহর থেকে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত। লোকবলে আমাদের ঘাটতি আছে ঠিকই, তবে আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে, সেটি দিয়েই দেশের মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। এজন্যই যারা যারা হাসপাতালে কর্মরত আছে, তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। 

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি অভিযোগও নিয়মিতই করছে। এই অভিযোগগুলো সব সত্যি না হলেও কিছু তো সত্যি। সরকারি সেবা পাওয়ার ঘাটতি নিয়ে মানুষের অভিযোগগুলোয় আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি দেশের সব সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবামূলক কাজের মান বাড়াতেই হবে। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট যতটুকুই বাড়–ক, বাড়ানো হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পাবে বলেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্বাস্থ্য খাতের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। মানুষের জন্যস্বাস্থ্যসেবায় অবহেলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) নাজমুল হক খান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ (পরিকল্পনা) প্রমুখ।