নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড অরগানিজম (জিএমও) পণ্য বাজারজাত করতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন লাগবে।
ফসলের নতুন কোনো জাত উৎপাদিত হলে সেটি মানুষের ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কি না, সেটি আগে যাচাইবাছাই করবে সরকার। এরপর তা বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেবে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি নীতির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় জীব নিরাপত্তা নীতি, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।’
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক ফোরাম থেকে বারবার বলা হচ্ছে, একটি নীতিমালা করার জন্য। ইউনাইটেড ন্যাশন কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটির
আওতায় কার্টাগেনা প্রটোকল অন বায়োসেফটি রয়েছে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ এতে স্বাক্ষর করেছিল। সেটির অনুসরণে এই নীতিমালা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মূলত জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড অরগানিজম বা জিএমও এবং এলএমও নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সেই গবেষণাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ড্রেজিং ও ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়াও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ও মঙ্গোলিয়া সরকারের মধ্যে মিউচুয়াল এক্সপানশন অন ভিসা রিকোয়ারমেন্ট চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২৯টা দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসামুক্ত প্রবেশের চুক্তি আছে। এটি নিয়ে ৩০টি হলো। এর ফলে ডিপ্লোমেটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৩০ দিন ভ্রমণ করতে পারবে।’