নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সরকারের অবহেলার কারণেই আবারও বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতাদের আশু আরোগ্য কামনায় এ দোয়া মাহফিল হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই যে করোনাভাইরাস চতুর্থবারের জন্য আবার সংক্রমিত হচ্ছে, এটা সরকারের অবহেলার কারণেই। আমাদের দেশের আগে চীনে নতুন করে এই ওয়েভ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করা হয়নি, এটাকে কোনো রকমের পাত্তা দেয়া হয়নি।’
‘দেশে আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের নেতারা আক্রান্ত
হচ্ছেন, দেশবাসী আক্রান্ত হচ্ছেন। এখানেই সরকারের ব্যর্থতা এবং এখানেই তাদের অসাবধানতা।’
বন্যাকবলিত অঞ্চলের দুর্ভোগের চিত্র বর্ণনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এ প্রলয়ংকরী বন্যা সিলেট অঞ্চলে হয়েছে। এটা ১২২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গতকাল থেকে আবার সেখানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পানি আসছে আমাদের ওপরের দেশ থেকে। আমাদের দেশের ৫৪টা নদীর উজানে বাঁধ দেয়া আছে।’
‘বর্ষাকালে যখন অতিবৃষ্টি হয়, তখন তাদের (ভারত) স্বার্থে একসঙ্গে সব গেট খুলে দেয়া হয় এবং সব পানি বাংলাদেশে এসে পড়ে। যে সময়ে আমাদের পানির প্রয়োজন নেই, তখন আমাদের ভাসিয়ে দেয়া হয়; আবার যখন প্রয়োজন তখন বাংলাদেশের নদীগুলোয় স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ থাকে না, নদ-নদীগুলো মরা নদীতে পরিণত হয়। আমাদের কৃষি, জীব-বৈচিত্র্য চরমভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা সরকারে আছেন, তারা জনগণের সরকার নয়, তারা জনগণের কথা চিন্তা করেন না, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ চিন্তা করেন। কীভাবে ক্ষমতায় থাকবেন সেই কৌশল করেন।’
‘বন্যা হচ্ছেÑএ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিল। কিন্তু তারা (সরকার) তা পারছে না। কারণ এই সরকারের পররাষ্ট্রনীতি নতজানু। সেজন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না। আজকে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য যাকে ইচ্ছা ছাড় দিচ্ছে, আর জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুন্ন করছে।’
মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী, সাইফুল আলম নীরব। পরে খালেদা জিয়াসহ সব নেতার আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তারা।
