সরকারের খায়েশ হয়েছে ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকার: মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার খায়েশ জেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো সেই নীলনকশা নিয়েই ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না।”

আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “২০১৪ সালে নির্বাচনে কোনো ভোটার বা মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে আগের রাতে। এখন আবার খায়েশ হয়েছে যে তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকবে। সেই নীলনকশা নিয়ে তারা আবার নির্বাচন করতে চায়। কেন? কারণ, তাদের তো আজীবন ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই দেশ তো তাদের জমিদারি, আমরা সব প্রজা। সেই প্রজার মতোই ব্যবহার তারা আমাদের সঙ্গে শুরু করেছে।”

তিনি বলেন, “আজকে এই সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। সংবিধানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২ সালে যে সংবিধান হয়েছিল, পরবর্তীকালে সংবিধানে জনগণের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল, তাকে ভেঙেচুরে তারা এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা করার লক্ষ্যে দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।”

বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে, এখন কথা বলতে শুরু করেছেন দু–তিন মন্ত্রী। যারা কথায় কথায় বিভিন্ন কথা বলেন। এখন বলতে শুরু করেছেন যে বিএনপি ভয় পায়, বিএনপি নির্বাচন করবে। পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, বিএনপি এ সরকারের অধীন, হাসিনা সরকারের অধীন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।”

শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ দফা দাবিতে সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও জোট। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে টঙ্গীর আব্দুল্লাহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কে এ মানববন্ধন হয়।

নয়াপল্টনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালি মার্কেটের সামনে মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০