নিজস্ব প্রতিবেদক: রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়মের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘টিভিতে দেখলাম সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতালের মালিকের ওঠাবসা। সরকারের মদতে রিজেন্টের মালিক এসব অপকর্ম করেছে।’
গতকাল এক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রোগীদের কাছ থেকে করোনার নমুনা নিয়ে সেগুলো টেস্ট না করেই মনগড়া রিপোর্ট দিত রিজেন্ট হাসপাতাল। গত ৬ জুলাই বিকালে রিজেন্টের উত্তরার শাখায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এ অনিয়ম ধরা পড়ে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বারবার ক্ষমতায় আনা। ওয়ান-ইলেভেন থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সারাবিশ্ব এখন করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। মানবিক দুর্যোগ চলছে। মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারছে না। এ অবস্থায় ইসি উপনির্বাচন করতে চাইছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এক দশকের বেশি সময় ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। এটার নাম দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড রিজিম (মিশ্র শাসন)। এতে ইসি ও নির্বাচনের দরকার আছে। ইসি বিগত নির্বাচনগুলোয় আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে। সেনাবাহিনীকে অকার্যকর করেছে। এই কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ আচরণ পাওয়া যাবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুম হয়েছেন। কত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, পঙ্গু হয়েছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ৩৫ লাখ মানুষ আসামি হয়েছে। খালেদা জিয়াকে জেল খাটতে হয়েছে, তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ইসি ভালো কিছু করবে না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ঠিকভাবে করতে না পারলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সরকারকে বিদায় করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন’ শীর্ষক আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আবদুর রশীদ প্রমুখ।