সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজি ও পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্য বাজারে পেয়াঁজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে দামও। তবে দেশি পেঁয়াজের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা বড় পেঁয়াজ। এদিকে এ সপ্তাহে সবজির মূল্যও অনেকটা কমেছে বলে বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। অবশ্য মাছ-মাংস ও মসলার বাজারে আগের সপ্তাহের তুলনায় তেমন কোনো তফাত দেখা যায়নি।

রাজধানীর হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে গতকাল শুক্রবার এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেশে উৎপাদিত ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। অন্যদিকে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা বড় পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে একরকম বাধ্য হয়ে দাম কমিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, দেশে তিন দফা বন্যা ও পেঁয়াজ আমদানির প্রধান বাজার ভারতে বন্যায় পেঁয়াজের চাষ ব্যাহত হওয়ায় আশ্বিন মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। এরপর দফায় দফায় বেড়ে দেশি পেঁয়াজের দাম পৌঁছায় কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় সে সময়।

মসলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসুরের ডাল কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বাজারে।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কিছুটা কমেছে সবজির দাম। সবচেয়ে বেশি কমেছে টমেটোর মূল্য। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিভিন্ন মানের টমেটো প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গাজর বিক্রি হয় ১৫ টাকায়। এছাড়া শিম, ফুল কপি, বাঁধা কপিসহ শীতের অন্যান্য সবজিও বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে শাকসবজির সরবরাহ অনেক বেশি। গাজর, কপি, টমেটো এখন অনেক কম দামে কিনতে পারছি। তাই বিক্রিও করছি কম দামে।’

যদিও খুচরা পর্যায়ে দাম কিছুটা বেশি বলেই জানান ক্রেতারা। তারা বলছেন, সবজির দাম কিছুটা কমলেও গত বছরের তুলনায় এখনও বেশি। গতকাল খুচরা পর্যায়ে ফুলকপি ৩০ টাকা, শসা ১০০, ক্ষীরা ৮০, পেঁপে ৩০, শিম ৪০, বেগুন (কালো) ৫০ টাকা, বেগুন (সাদা) ৪০, ঝিঙা ৮০, করলা ১০০ থেকে ১২০, মটরশুটি ৬০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতো আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে ১৪ টাকা দরে আলু কেনাবেচা হয়েছে গতকাল।

আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৫০০, খামারে চাষ করা কই ২০০, পাঙ্গাশ ১৫০ ও দেশি ছোট শিং ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে। এছাড়া মাংসের বাজারে তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি আগের সপ্তাহের সঙ্গে। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০, ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০