Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:49 pm

সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠছে না ৬ কোম্পানির শিবলি রুবাইয়াতের আদেশ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পদত্যাগের আগে সালমান এফ রহমানের কোম্পানিসহ মোট ছয়টি কোম্পানিকে সুবিধা দিতে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম যে আদেশ দিয়েছিলেন, গতকাল রোববার সকালে লেনদেন শুরুর আগে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নিজ কার্যালয়ে আর যাননি বিএসইসির সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বাসা থেকে তিনি ছয় কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর প্রত্যাহার-সংক্রান্ত আদেশে সই করেন।

এরপর গত শনিবার পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। কিন্তু পদত্যাগের আগেও সালমান এফ রহমানের কোম্পানিসহ মোট ছয়টি কোম্পানিকে সুবিধা দিতে তাদের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপরই তিনি পদত্যাগ করেন।
গতকাল সকালে পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরুর আগেই বিএসইসি থেকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়ে দেয়া হয়, শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের দেয়া সেই আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে আজ (গতকাল) যে তিনটি কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠে যাওয়ার কথা ছিল, তা আর হচ্ছে না।
গতকাল বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর উঠে যাওয়ার কথা ছিল। বাকি তিনটি কোম্পানি হলো ইসলামী ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম। এই তিন কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আগামী বুধবার উঠে যাওয়ার কথা ছিল। আদেশ স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে তা আর হচ্ছে না।

পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২০ সাল থেকে কয়েক দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়। এ কারণে শেয়ারের দাম বিএসইসির বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সীমার নিচে নামার সুযোগ ছিল না। সর্বশেষ দফায় ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল বিএসইসি।
এরপর বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি বড় অংশের শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়। এতে দেড় বছর ধরে এসব কোম্পানির শেয়ারের তেমন কোনো লেনদেন হয়নি। পুঁজিবাজারেও একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। এ অবস্থায় বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে কয়েক ধাপে বাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়।