শেয়ার বিজ ডেস্ক: সলোমন দ্বীপপুঞ্জের চলমান সহিংসতা ঠেকাতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বীপপুঞ্জের রাজধানীতে দুই দিনের বিক্ষোভ-সহিংসতায় সরকার পতনের হুমকি সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে সেখানে শান্তিরক্ষী সেনা ও পুলিশ পাঠাচ্ছে বন্ধুপ্রতিম দেশ অস্ট্রেলিয়া। খবর: বিবিসি, আল জাজিরা।
বুধবার বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পতন ঘটাতে পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সহিংসতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধ জনতা লকডাউন উপেক্ষা করে বিক্ষোভে নামেন। তারা কয়েকটি সরকারি ভবন ও পুলিশ স্টেশনে আগুন দেয়া ছাড়াও দোকনপাটে লুটপাট চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই সেখানে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় সলোমনের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের ওই অনুরোধ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, সেখানে (সলোমন) শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ১০০ জনের কিছু বেশি পুলিশ কর্মকর্তা এবং সেনা কয়েক সপ্তাহের জন্য এ অভিযানে অংশ নেবেন।
বিবিসি জানায়, সলোমনের বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীই হচ্ছে পাশের দ্বীপ মালাইটার। এ দ্বীপের বাসিন্দারা অনেক দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করে আসছে। বুধবার তারা পার্লামেন্টে হামলে পড়ে প্রধানমন্ত্রীকে উৎখাত করার চেষ্টা চালায়। এ অস্থির পরিস্থিতিতে জারি করা হয় ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা এ কারফিউ ভঙ্গ করে রাজধানী হোনিয়ারার চায়নাটাউন জেলার রাস্তায় নেমে এসেছে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভারে ২০১৯ সালে তাইওয়ান থেকে সরে গিয়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা নিয়েও ক্ষুব্ধ মালাইটার লোকজন। বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যে দ্বীপটিতে চীনের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দাঙ্গা-বিক্ষোভকারীদের নিশানা হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সলোমন সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দ্বীপপুঞ্জটিতে অবস্থিত চীনের দূতাবাস। এ উদ্বেগের মধ্যে সলোমনের প্রধানমন্ত্রী মানাসে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি এখনও তার সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে।