রাস্তার ধূলিবালি ও সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখের সুরক্ষায় সানগ্লাস খুবই প্রয়োজনীয়। সাইকেল বা মোটরসাইকেল চালানোর সময়ে সানগ্লাস পড়ে থাকে অনেকে। অর্থাৎ সানগ্লাস শুধু ফ্যাশনের অনুষঙ্গ নয়, চোখের সুরক্ষায়ও জরুরি। এ জন্য সস্তা সানগ্লাস পরা উচিত নয়। কেননা এ ধরনের সানগ্লাসে নিম্নমানের প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়। এ নিম্নমানের রঙিন প্লাস্টিকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকানোর কোনো ক্ষমতা নেই। উল্টো চোখের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর।
শুধু পলিকার্বোনেট লেন্স সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকাতে পারে। এছাড়া সস্তার রঙিন চশমা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ বা চোখের প্রতিসারক ত্রুটি বহুগুণ বেড়ে যায়। অক্ষিগোলকের অস্বাভাবিক আকার ও বক্রতার কারণে প্রতিসারক ত্রুটির সমস্যা দেখা দেয়। এতে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। খুব দূরের বা খুব কাছের কিছু দেখতে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোদের থেকে চোখ বাঁচাতে গিয়ে আমরা কমদামি সানগ্লাস পরে চোখের বিপদ ডেকে আনছি। এ বিপদের মাত্রা ভয়ঙ্কর। অনেক অভিভাবক ছোটদের আবদার মেটাতে গিয়ে ফুটপাত কিংবা মেলা থেকে তাদের খেলনা চশমা কিনে দেন। এতে পরবর্তীতে শিশুদের চোখে সমস্যা হতে পারে। সব কমদামি বা সস্তার সানগ্লাস অতিরিক্ত ব্যবহার করলে অকালেই চোখে ছানি পড়তে পারে। চোখের কর্নিয়া শুকিয়ে যেতে পারে।
কম দামের রঙিন চশমা ব্যবহারের ফলে অস্বাভাবিকভাবে চোখের পাওয়ার বেড়ে যেতে পারে। ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে পারে। ‘আইলিড’ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়। তাই সানগ্লাস কেনার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সস্তা সানগ্লাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি
