ক্রীড়া ডেস্ক: সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলো না স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ইমরান তাহির ও কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে শুরুতেই ধুঁকতে থাকা কিউইরা স্কোর বোর্ডে জমা করে ১৪৯ রান। তাতে ফাফ ডু-প্লেসি ও ডেভিড মিলারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে সহজেই ছয় উইকেটের জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারণে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে নিজেদের করে নিলো প্রোটিয়ারা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সিরিজ হারের পর এ নিয়ে টানা সাতটি সিরিজ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ধরে রাখলো আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান। নিউজিল্যান্ড দেশের মাটিতে হারালো টানা আট সিরিজ পর। সবশেষ ২০১৪ সালে হেরেছিল এ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেই।
অকল্যান্ডে গতকাল টস ভাগ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তাতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দলটি। কিন্তু স্বাগতিকরা শুরু থেকেই কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে পড়ে। আগের ম্যাচে অপরাজিত ১৮০ রান করা মার্টিল গাপটিল দ্রুতই ফিরে যান সাজঘরে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৮৭ রানের মধ্যে হারিয়ে বসে ছয়টি উইকেট। শেষ দিকে স্যান্টনার ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ৪৫ রানের জুটি কিছুটা আশার আলো দেখায় কিউইদের। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় কেন উইলিয়ামসনের দল।
ইমরান তাহির ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনারের সবচেয়ে কৃপণ বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। এদিকে রাবাদা ৩ উইকেট ও আন্দিলে ফিকোয়াওর ২ উইকেট নিয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাও ভালো ছিল না। দলীয় ৪৮ রানের মধ্যেই সফরকারীরা হারিয়ে বসে তিনটি উইকেট। তবে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক এবিডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ডু-প্লেসির ৪০ রানের জুটি ভালোভাবে ম্যাচে ফিরে আসে দলটি। ২৩ রানে ভিলিয়ার্স
সাজঘরে ফিরে গেলেও জয়ের বাকি কাজটা ডেভিড মিলারকে নিয়ে সহজেই সারেন ডু-প্লেসি। এ জুটি ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ডু-প্লেসি ৫১ ও মিলার করেন
৪৫ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন জিতান প্যাটেল। একটি করে উইকেট গ্র্যান্ডহোম
ও নিশামের।