Print Date & Time : 29 June 2025 Sunday 11:49 pm

সহযোগী কোম্পানির শেয়ার কিনবে মালেক স্পিনিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিউ এশিয়া সিনথেটিকস লিমিটেড (এনএসএল) পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং সহযোগী কোম্পানির প্রস্তাবিত ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার কিনবে মালেক স্পিনিং। সম্প্রতি নিউ এশিয়া সিনথেটিকসের পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করেছে মালেক স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, মালেক স্পিনিংয়ের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী কোম্পানি নিউ এশিয়া সিনথেটিকসের পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা থেকে ৬৬ কোটি টাকা করবে। যেখানে ৬৬ লাখ শেয়ারের প্রতিটির দর ১০০ টাকা হবে। জমি কেনা, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য কাজে অর্থ ব্যয়ের জন্য পরিশোধিত মূলধন বাড়াচ্ছে কোম্পানিটি। নিউ এশিয়া সিনথেটিকসের পরিচালনা পর্ষদ অতিরিক্ত ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার মালেক স্পিনিংকে প্রস্তাব করেছে। এবং মালেক স্পিনিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ সহযোগী কোম্পানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর ফলে শেয়ারহোল্ডিংয়ের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে (৯৯.২৯%)। মালেক স্পিনিংয়ের অভ্যন্তরীণ ফান্ডের মাধ্যমে সহযোগী কোম্পানির ইস্যু করা শেয়ার কিনবে।

নিউ এশিয়া সিনথেটিকসের এ মূলধন পুনর্গঠন, জমি এবং সহায়ক বিনিয়োগ কোম্পানির অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।

কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩০ কোটি ছয় লাখ টাকা। কোম্পানির ১৯ কোটি ৩৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৩ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৫৩টি শেয়ার মোট ৩৪৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৭ টাকায় হাতবদল হয়।

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৮ পয়সা (লোকসান), ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৭৪ পয়সা। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।