সহযোগী কোম্পানি একীভূতকরণে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পর্ষদের অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:এম হাই অ্যান্ড কোং সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড, নেসা অ্যান্ড সন্স লিমিটেড এবং গুড সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড নামের তিনটি সহযোগী কোম্পানি একীভূতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে এম হাই অ্যান্ড কোং সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড, নেসা অ্যান্ড সন্স লিমিটেড এবং গুড সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড একীভূত হবে। আর গত রোববার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ-সংক্রান্ত স্কিমের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর ধারা ২২৮ ও ২২৯-এর বিধান অনুসারে এবং সংশ্লিষ্ট সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতিক্রমে এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক স্কিমটির অনুমোদনের পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর ব্যাংক এবং অন্যান্য ঋণদাতাদের অনুমোদনের পর এটি কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বেনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১৭ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৩) ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় ৭ পয়সা কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকোর তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৭ পয়সা কমেছে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমলেও প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে। তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই ২০২২-মার্চ ২০২৩) তাদের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৩ পয়সা। ৯ মাসের হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৬২ পয়সা। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইপিএসের পাশাপাশি শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) বেড়েছে। দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৬ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুন ছিল ১২ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ ৯ মাসের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬৫ পয়সা। এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৮৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা দুই পয়সা। অর্থাৎ নগদ অর্থপ্রবাহ বেড়েছে ৮৫ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা তিন টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩১১টি শেয়ার মোট তিন হাজার ১৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৫৪ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০