নিজস্ব প্রতিবেদক: হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেডকে (এইচবিএল) একীভূতকরণের অনুমোদন পেয়েছে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড (এলএইচবিএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেডকে একীভূতকরণের জন্য উচ্চ আদালতের অনুমতি পেয়েছে। কোম্পানিটি গত ২১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি পায়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল উক্ত রায়টি রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টকে জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) বিনিয়োগকারীরা এ দুই কোম্পানির একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। উল্লেখ্য যে, হোলসিম সিমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শতভাগ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে। সিমেন্ট উৎপাদন ও বিপণনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হোলসিম সিমেন্টের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। যার সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা ৪৫ লাখ এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক পরিশোধযোগ্য শেয়ার পাঁচ লাখ, যেখানে প্রতি শেয়ারের মূল্য ১০০ টাকা। আর কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা। যেখানে ১০০ টাকা দরের প্রতিটি সাধারণ শেয়ার সংখ্যা ৮৮ হাজার ২৪৪টি।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩১ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৬২২টি শেয়ার মোট ৩৪৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৯ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে ৬৯ পয়সা ও এনএভি ১৩ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৮০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।