শেয়ার বিজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সরকার দেশটির নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ডানপন্থি দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। ১০ দিন পাকিস্তানে সহিংস বিক্ষোভ করছিল টিএলপি। বিক্ষোভে হতাহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতার মধ্য দিয়ে অবশেষে এ বিক্ষোভের অবসান ঘটল। খবর: আল-জাজিরা।
গত রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে দু’পক্ষের বৈঠক হয়। আলোচনায় সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি এবং টিএলপির পক্ষে ধর্মীয় নেতা মুফতি মুনিবুর রেহমান অংশ নেন। তবে বৈঠকের পর ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে সমঝোতা নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
টিএলপির নেতা সাদ রিজভি আলোচনার জন্য তাকে মনোনীত করেছেন বলে জানান মুফতি মুনিবুর রেহমান। সরকারপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল তিনি বলেন, সমঝোতার বিস্তারিত ও ইতিবাচক ফল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
গত ২২ অক্টোবর লাহোর থেকে ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘লংমার্চ’ শুরু করেন টিএলপির সমর্থকেরা। টিএলপির কারাবন্দি নেতা সাদ রিজভির মুক্তির দাবিতে লংমার্চ আয়োজন করা হয়। ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ করতে সমর্থকদের উসকানি দেয়ার অভিযোগ গত বছর সাদ রিজভি গ্রেপ্তার হন।
ফ্রান্সের রম্য সাময়িকী শার্লি এবদোতে কয়েক দফায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশিত হওয়ায় পাকিস্তানে অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাস বন্ধ ও রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি জানায় টিএলপি। টিএলপির সমর্থকরা ইসলামাবাদের দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইসলামাবাদ অভিমুখে যাওয়ার সময় পথে বিভিন্ন স্থানে টিএলপির সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষে অন্তত ১১ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন পুলিশ কর্মকর্তা ও চারজন বিক্ষোভকারী ছিলেন।
সম্প্রতি বিক্ষোভের মুখে টিএলপির ৩৫০ কর্মীকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান সরকার। সহিংসতা এড়াতে টিএলপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায়ও বসে ইমরান খানের সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের এ চুক্তির ফলে টিএলপির টানা ১০ দিনের আন্দোলনের অবসান ঘটবে।