Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 10:07 pm

সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

প্রতিনিধি, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইংরেজি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর হাতাহাতি ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে হেনস্তা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গত সোমবার এই ঘটনার জের ধরেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহি সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে ফের হেনস্তা করেন।

ঘটনার সূত্রপাত জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী হীরা ও আরমানের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়। এ সময় যায়যায়দিনের প্রতিবেদক রুদ্র ইকবাল সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে রেজা-ই-এলাহি গ্রুপের রাব্বি, অমিতসহ রেজা-ই-এলাহির অনুসারীরা তাকে উচ্চবাচ্য করে কথা বলেন।

এসময় রেজা-ই-এলাহি সাংবাদিককে উদ্দেশে বলেন, সাংবাদিক এখনও আমাকে চিনে না আমি কে! এই ক্যাম্পাস কারও বাপের নয়, সংবাদিককরা আমাদের কী করবে, দেখে নেব! তোমাদের যা মন চায় তা করো।

এ বিষয়ে রুদ্র ইকবাল বলেন, দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে রাব্বি, অমিতসহ রেজা-ই-এলাহির অনুসারীরা আমাকে হেনস্তা করে। এর জেরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রক্টরিয়াল বডির সামনে আবার আমাকে ও সংবাদকর্মীদের হেনস্তা করে।

এসব বিষয়ে রেজা-ই-এলাহী বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের হেনস্তা করিনি। তারা আমাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেছেন। বিশৃঙ্খলাকারীরা আমার কর্মী নয়।’ নিয়মিত ছাত্র না হয়েও আপনি ক্যাম্পাসে মিছিল করতে পারেন কি নাÑএমন প্রশ্নে রেজা-ই-এলাহি বলেন, ‘এটা প্রশাসনকে জিজ্ঞেস করুন, আমাকে কেন?’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, যে দুই শিক্ষার্থী মারধর করেছে, তাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। তারা বলছে তারা মিউচুয়াল হয়ে গেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এখানে মধ্যস্থতা করেছি। সাবেক হিসেবে ক্যাম্পাসে শোডাউন দিতে পারে কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএর ছাত্র। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগত ছাত্র।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান জানান, এ মুহূর্তে কুবি ছাত্রলীগের কোনো সাংগঠনিক কমিটি নেই। যদি কেউ ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কোনো অপকর্মে জড়িত হন, আমরা তার দায়ভার নেব না। আর যদি সাংবাদিক হেনস্তার কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করব, তারা যেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।