সাংবাদিককে শিক্ষা দিতে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে সাংবাদিকের উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান বাবু। হত্যার দিন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেই। এছাড়া ঘটনার পাশে থেকেই হত্যার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি বলে জানিয়েছে র্যাব।

শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মইন।

সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যা মাহমুদুল আলম বাবু (৫০)। এসময় তার সহযোগী মনিরুজ্জামান মনির মনিরুল (৩৫), জাকিরুল ইসলাম (৩১) ও রেজাউল করিম (২৬)। এরমধ্যে বিকালে রেজাউলকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর বাকিদের সকালে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৪ জুন ২০২৩ তারিখ সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাটহাটি এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার শিকার হন। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিক ও পথচারীরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাতেই জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভিকটিম নাদিমের অবস্থার অবনতি হলে ১৫ জুন ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ঐ দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিম মৃত্যুবরণ করেন।

গ্রেপ্তার রেজাউল, মনির ও জাকির মাহমুদুল হাসান বাবুর সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। রেজাউল দৌড়ে গিয়ে নিহত নাদিমকে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই বাবুর নির্দেশে তারা নাদিমকে বেদম প্রহার করতে থাকে। একপর্যায়ে পাশের একটি অন্ধকার গলিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে জামালপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০