দোয়েল মাহমুদ: একটা সময় ছিল সাংবাদিকতা বিষয়ে কেউ পড়তে চাইতেন না। সেই সময় পাল্টেছে। এখন সাংবাদিকতায় আগ্রহী অনেকেই। পেশার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বলে বিষয়টি অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। গণমাধ্যমের প্রসারের ফলে বাড়ছে এ বিষয়ের চাহিদা। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও রেডিওর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে কাজের ক্ষেত্র।
অনেকে মনে করেন, সাংবাদিকতার জন্যই সাংবাদিকতা পড়া দরকার। ধারণাটি মোটেও ঠিক নয়। এ বিষয়ে পড়াশোনাশেষে সাংবাদিকতা ছাড়াও আরও অনেক পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
কোথায় পড়বেন
দেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় সাংবাদিকতা। এসবের মধ্যে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছেন। আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতার শিক্ষাদানকারী এই প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকতা বিভাগের লক্ষ্য হলো, দেশকে অভিজ্ঞ ও নৈতিক গণমাধ্যমকর্মী উপহার দেওয়া।
কেন পড়বেন মানারাতে
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে গণমাধ্যমের রূপ। একসময় শুধু প্রিন্টভিত্তিক মিডিয়া থাকলেও সময়ের দাবিতে তা এখন রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন পোর্টাল ও অনলাইন টেলিভিশনে পরিণত হয়েছে। সুতরাং কর্মক্ষেত্র বাড়ার পাশাপাশি এর প্রতিযোগিতাও কোনো অংশে কম নয়। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। যেমন চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে রয়েছে ফটোগ্রাফি, ডকুমেন্টারি, ভিডিও প্রডাকশন, রিপোর্টিং, ফিল্ম রিডিংসহ বেশ কিছু বিষয়। এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কাজে দক্ষ করে তোলার জন্য রয়েছে ‘এমআইইউ ক্যাম্পাস টিভি’। যে কোনো শিক্ষার্থী চাইলেই কাজ করতে পারেন ক্যাম্পাসভিত্তিক এ টেলিভিশন চ্যানেলে। এছাড়া ক্যাম্পাস টিভির উদ্যোগে আয়োজন করা হয় নানা কর্মশালা ও সেমিনার। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় শিক্ষা সফরের। তাই সাংবাদিকতায় পড়তে চাইলে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হতে পারে আপনার চমৎকার গন্তব্য।
খরচ
মানারাতে পড়ালেখার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মোট ১৩৫ ক্রেডিটের জন্য তিন লাখ ২৭ হাজার ৬০০ টাকা (সব ধরনের খরচসহ) নির্ধারণ করা থাকলেও রয়েছে নানা ধরনের ওয়েভার। যেমন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ফলের ওপর ভিত্তি করে রয়েছে টিউশিন ফি মওকুফের সুযোগ। দরিদ্র ও সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্যও এর পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য রয়েছে টিউশন ফি’র ওপর শতভাগ ওয়েভার।
ভর্তির যোগ্যতা ও সময়
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫ থাকলেই ভর্তি হতে পারবেন। বছরে তিনটি সেশনে চলে ভর্তি কার্যক্রম। প্রতি বছর নভেম্বর, মার্চ ও জুনের শুরুর দিকে চলে ভর্তিমেলা। এ সময় ভর্তি হতে পারলে পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা। উল্লেখ্য, সময়তালিকা পরিবর্তন হতে পারে।
ঢাকার আশুলিয়া মডেল টাউনের খাগানে অবস্থিত মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সরাসরি ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে পারেন, অথবা মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট http://www.manarat.ac.bd থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন ভর্তি ফরম।