সাইনাস হলো মুখমণ্ডল তথা মস্তিষ্কের বায়ুপূর্ণ ফাঁপা জায়গা। এ ফাঁপা জায়গায় কোনো কারণে ঘা বা প্রদাহ হলে তাকে সাইনোসাইটিস বলে। মস্তিষ্কে অবস্থিত এ সাইনাসের বিভিন্ন কাজ রয়েছে:
# নাকের মধ্যস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র রাখা
# মাথা হালকা রাখা
# মস্তিষ্কের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ রক্ষা করা
বিভিন্ন সাইনোসাইটিস বিভিন্ন মেয়াদ বা সময়ে হয়ে থাকে। এটি চার ধরনের হয়ে থাকে:
অ্যাকিউট
এ পর্যায়ে অসুস্থতা সাধারণত সাত থেকে ১০ দিন থাকে। এটি উপসর্গভেদে তীব্র ও মৃদু হতে পারে।
পুনর্ঘটমান অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস
এটি বছরে চারবার বা তার অধিক সময় ধরে থাকে।
সাব-অ্যাকিউট সাইনোসাইটিস
সাধারণত চার সপ্তাহের অধিক কিংবা ১২ সপ্তাহ এই প্রদাহ বিরাজ করে।
ক্রনিক বা পুরোনো সাইনোসাইটিস
এটি ১২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিরাজ করে।
আরও রয়েছে:
ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস
কপাল বা গালের আশপাশে ম্যাক্সিলা নামক অস্থির ভেতরের সাইনাসে সংক্রমণকে ম্যাক্সিলারি সাইনোসাইটিস বলে। এটি আক্রান্ত হলে দাঁত ও মাথাব্যথা হয়।
ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস
চোখের উপর কিংবা কপালের অস্থিতে বিদ্যমান ফ্রন্টাল সাইনাসের প্রদাহে ফ্রন্টাল সাইনোসাইটিস দেখা দেয়। ফলে মাথাব্যথা হয়।
ইথাময়েড বা এথময়ডাল সাইনোসাইটিস
দুই চোখের মাঝখানে অবস্থিত ইথময়ডাল সাইনাসের সংক্রমণে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ব্যথা ও চাপ অনুভূত হয়, একে ইথাময়েড বা এথময়ডাল সাইনোসাইটিস বলে।
স্ফেনয়ডাল সাইনোসাইটিস
মুখের ভেতরের তালুর ওপর প্রজাপতি আকৃতির সাইনাসের প্রদাহে স্ফেনয়ডাল সাইনোসাইটিস দেখা দেয়। এটি আক্রান্ত হলে চোখ ও চোখের ভেতরে ব্যথা অনুভূত হয় এবং মাথার তালুতে সে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
লক্ষণ
# মাথাব্যথা ও মাথা ভারী হয়ে থাকা
# মুখমণ্ডলের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভব হওয়া
# নাকে সবসময় সর্দি লেগে থাকা এবং নাকের ভেতরের বিভিন্ন স্থান থেকে মাঝে মাঝে পুঁজও বেরিয়ে আসতে পারে
# প্রায়ই শরীরে ম্যাজম্যাজ বা ব্যথা অনুভব হয়
# অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ
# খাবারে গন্ধ অনুভূতি ও স্বাদ অনুভূতি
কমে যায়স খুশ-খুশ খাশি হয়
প্রতিকার
# অ্যালার্জি ও ধুলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে
# রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
# ধূমপান পরিহার করতে হবে
# চারপাশের পরিবেশ যতদূর সম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
# দাঁতের ক্ষয় ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থ থেকে দাঁতকে রক্ষা করতে হবে
# প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
