নিজস্ব প্রতিবেদক: সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের গাজীপুরের পুবাইলের নতুন ব্যাটারি ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। ফলে কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে প্রায় দ্বিগুণ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ও নিজস্ব অর্থায়নে করা হয়েছে এ ইউনিট। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কোম্পানিটি তাদের ব্যাটারি ইউনিট থেকে দুই লাখ ৬৫ হাজার ব্যাটারি উৎপাদন করবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ ক্ষমতা হবে প্রায় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার। ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটি তাদের ব্যাটারি উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ছয় লাখ ৫০ হাজারে নিতে চায়। বাণ্যিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরুর যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও ২৭ শতাংশ বোনাসসহ মোট ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৩৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
২০১৫ সালে ২৯ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। ওই সময় ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা সাত পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৫৪ পয়সা ও ২৬ টাকা ৮৪ পয়সা। ওই বছর কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২১ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৭৯ লাখ ১০ হাজার দুটি শেয়ার মোট চার হাজার ৪৭৯ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর এক দশমিক ২৫ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৪৮ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৭০ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা সাত পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৭২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা এক পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ২৩ টাকা ২২ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৬ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৭৪ পয়সা। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা এক পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ২০ টাকা ১৯ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ২২ টাকা ৩২ পয়সা।
তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৮৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৬৪ পয়সা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ২২ টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ২৩ টাকা ২২ পয়সা।
৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩২ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পি/ই) অনুপাত ১১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক শূন্য আট শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার রয়েছে ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৬টি। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক শূন্য আট শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।