সাইমুম সরওয়ার কমলের হ্যাটট্রিক ছোঁ মারতে চান সাঈদ

প্রতিনিধি, কক্সবাজার: কক্সবাজার-৩ (রামু-ঈদগাঁও) আসন থেকে টানা দুবার সংসদ সদস্য হয়েছেন সাইমুম সরওয়ার কমল। এবারও নৌকার টিকিট নিয়ে ‘হ্যাটট্রিক’ করতে চান তিনি। তবে শুরুর দিকে কমলের জয় সহজ হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা জটিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের কারণে। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা কমলের বিরোধিতা করে কাজ করছেন মিজান সাঈদের হয়ে।

তাদের দাবি, পরপর দুবার আওয়ামী লীগের এমপি হলেও নেতাকর্মীদের জন্য কিছুই করেননি কমল। বরং বিরোধীদের লালন করেছেন, সুযোগ দিয়েছেন। তাই এবার নির্বাচনে তারা কমলের পাশে নেই। তারা বলছেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য মিজান সাঈদের মতো ভালো ও সৃজনশীল মানুষ দরকার। এলাকার অবকাঠামোগত ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তিনি ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবেন। আশেকের নৌকা ডিঙিয়ে ‘নোঙর’ ফেলতে চান বাদশা সরেজমিন দেখা যায়, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। সকাল সন্ধ্যা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গত দুই সংসদীয় নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কমল চাপমুক্ত থাকলেও এবারের নির্বাচন বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে আবারও নৌকায় ভোট চাইছেন কমল। অন্যদিকে প্রথমবার অংশ নিয়েই নিজের পরিকল্পনার কথা মানুষকে শুনিয়ে চমক দেখাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ। স্বতন্ত্র প্রাথী মিজান সাঈদ (ঈগল) খুব অল্প সময়ে নির্বাচনী মাঠে শক্ত জায়গা করার পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগের সমর্থন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নৌকা ছেড়ে উঠেছে ঈগলের পিঠে। আর এতেই ভাগ্য খোলার দ্বারপ্রান্তে ঈগলের প্রার্থী মিজান সাইদ।

ভোটের মাঠে ঈগল উড়াচ্ছেন রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের টানা দুবার সংসদ সদস্য থাকার পরেও সাইমুম সরওয়ার কমল নির্বাচনী এলাকায় কি করেছেন তা দৃশ্যমান। ওনার হাত ধরে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর অবহেলিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এখন নির্বাচন আসায় তিনি আওয়ামী লীগকে খুঁজছেন, নেতাকর্মীরা তার ধারেকাছেও যাচ্ছেন না।’ রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি রিয়াজুল আলম। তিনিও ঈগলকে জেতাতে সক্রিয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজ করছেন নৌকাকে জেতাতে। কিন্তু নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ও সোহেল সরওয়ার কাজল আপন দুই ভাই হলেও দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ ছিল। ব্যতিক্রম ঘটেছে এই নির্বাচনে। ভাইকে এমপি বানাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন কাজল নিজেই। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন,  ‘আমার মনে হচ্ছে আমি প্রার্থী নই, ভোটাররা নিজেরাই প্রার্থী। তারা আমাকে শুধু ভোট দিতে নয়; বরং বিজয়ী করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কিছু জনবিচ্ছিন্ন লোক নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে অনেক বেশি উন্নয়ন করেছে। সামনেও উন্নয়ন করবে।’ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সাধারণ মানুষ নৌকাকে ভোট দিয়ে জয় করবে, দৃঢ়বিশ্বাস তার। ঈগলের প্রার্থী মিজান সাইদ বলেন,  আপনারা এমন একজনকে বেছে নেন, যার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়। আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, তাতে আমার দুঃখ নেই। ভোটারের মনের ভেতরে রয়েছে আমার পোস্টার। যে স্বপ্ন দেখানোর পর বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা আছে তাকে বেছে নিন। যার শিক্ষা-দীক্ষা আছে তাকে বেছে নেন। যে রাজনীতিকে জীবিকা বানাবে না তাকে বেছে নিন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০