Print Date & Time : 30 June 2025 Monday 7:15 pm

সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিকের ৭৫% শেয়ার কিনবে এসএস স্টিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: চীন ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনবে এসএস স্টিল লিমিটেড। এজন্য সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিকের ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসএস স্টিলের পরিচালনা পর্ষদ। সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার কাটাখালীতে অবস্থিত। আর কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা প্রতি বছর ৯ কোটি ৬০ লাখ বর্গফুট। সাউথইস্ট ইউনিয়ন সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার জন্য বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আয়োজন করবে। ইজিএমের স্থান, তারিখ এবং সময়-পরবর্তীতে কোম্পানিটি জানিয়ে দেবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ২৭ কোটি ছয় লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে এক কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ১০৩টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৭৮৮ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর আট টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৪ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত  হিসাববছরের জন্য দুই শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতিত) এবং আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৪৬ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত  হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ২১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৩ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭১ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৭৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৭ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা লোকসান।

প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৬৭ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ২৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৭ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং বাকি ৪৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।