জয়নাল আবেদিন: ব্যাংক খাতের দুর্নীতি ও অনিয়ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। কখনও গায়েবি চাপে আবার কখনও টাকা আত্মসাতের জন্যই ফাঁদ তৈরি করেন অনেক ব্যাংকার। সম্প্রতি এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংকে। শাখার সহকারী ব্যবস্থাপকের সহযোগিতায় গ্রাহকের এফডিআরের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একজন গ্রাহক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলাম সাউথইস্ট ব্যাংক ঢাকার প্রগতি সরণি শাখার একজন গ্রাহক। এ শাখার আওতায় চারটি অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ করে মোট ৮০ লাখ টাকার এফডিআর করেন, যা ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম চোধুরী অশ্রু’র স্বাক্ষর করা চেকের মাধ্যমে টাকাগুলো উত্তোলন করা হয়েছে বা নগদায়ন করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম নামের ওই গ্রাহক জানান, ‘শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী অশ্রুর সহযোগিতায় এফডিআরে জমা থাকা আমার ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে তারা। চেক ইস্যু করে সহকারী ব্যবস্থাপকের আপন চাচাতো ভাই আরেফিন আজাদ চৌধুরী বাদল টাকাটা তুলে নিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবলু সাউথইস্ট ব্যাংক প্রগতি সরণি শাখার ব্যবস্থাপক এবং ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভাগীয় প্রধান কেন্দ্রীয় অভিযোগ সেল প্রধান কার্যালয় বরাবর টাকা ফেরত চেয়ে মোট তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়েছে ব্যাংক। চলতি মাসের ১৫ তারিখ অভিযোগটি দাখিল করেন নজরুল ইসলাম। একটি দেশের সাধারণ মানুষের আর্থিক আমানত রাখার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হলো ব্যাংক। আর সেখানে এমন ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। আমি চাই এ ধরনের জালিয়াতির কাজে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ সাজা হোক। আমি আমার আমানতের টাকা নিরাপদে ফেরত চাই।’
এ বিষয়ে ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক জানান, অভিযোগের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে দেখছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কয়েকদিন আগেই অভিযোগটা করা হয়েছে। তাই এখনও অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। আশা করি খুব দ্রুত অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে।
এ বিষয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কামাল হোসেন শেয়ার বিজকে জানান, ‘অভিযোগপত্রটা এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছেনি। তবে শাখা পর্যায় থেকে জানতে পেরেছি একজন গ্রাহক এরকম অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখব। চেষ্টা করব যাতে এই সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যাটা সমাধান হয়ে যায়।’