নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি।
রোববার (২৭ মার্চ) সকালে বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ, আরেফিন নগরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কলামিস্ট এবং লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, সাংবাদিক, প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় সমাবর্তনে ভালো ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১০ জন, ভাইস- চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ৩৯ জন, ডিন অ্যাওয়ার্ড ৩৮ জন এবং গ্রাজুয়েট একাডেমিক এক্সিলেন্স অর্জন করেন ৯ জন শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মোট সাত হাজার ৮৫৩ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী শিক্ষার কোনো বয়স নেই, মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করে যেতে হবে। শুধুমাত্র গতানুগতিক শিক্ষার দিকে ধাবিত হলে চলবে না, যুগোপযোগী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর আইটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপ দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অপার সম্ভবনা রয়েছে, তাই এ সেক্টরে শিক্ষার্থীদেরকে আরও বেশি সম্পৃক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে হবে। ভাষাগত দক্ষতার পাশাপশি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্য পৌঁছতে পারলেই তবেই সাফল্য অর্জিত হবে।
সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, স্নাতকবৃন্দ, কর্মমুখর পৃথিবী তোমাদের ডাকছে, সামনে অনেক কাজ, এই ঘনবসতিপূর্ণ দেশের উন্নয়নে সামান্য প্রাকৃতিক সম্পদ হলো আমাদের পুঁজি। কিন্তু আমাদের রয়েছে ১৬ কোটি অসামান্য সম্পদ-মস্তিষ্ক। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এই মস্তিষ্ককে শানিত করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমি বিশ্বাস করি তোমরা সেই সুযোগের সদ্ব্্যবহার করেছো। তোমাদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা দিয়ে এখন আমাদের সীমিত সম্পদে জাপান কিংবা কোরিয়ার মত মূল্যসংযোজন করতে হবে। তাহলেই আমরা সম্পদশালী দেশে পরিণত হবো। মানব সম্পদের থেকে মূল্যবান কোনো সম্পদ নেই এবং আমাদের তা রয়েছে যথেষ্ট।
উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সমাবর্তন নিঃসন্দেহে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই অত্যন্ত মর্যাদা, সম্মান ও গৌরবের। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেড়িয়ে কর্মযজ্ঞে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে যাচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তারা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে অন্তরে ধারণ করে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং স্ব স্ব পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করবে।
