ক্রীড়া প্রতিবেদক : ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করেই বড় ভুল করেছেন সাকিব আল হাসান। এ জন্য তিনি শাস্তিও পেয়েছেন দু’বছর। এর মধ্যে এক বছর আছে স্থগিতাদেশ। তার মানে এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল করলে এক বছরই পরই ফের চেনা পরিবেশে ফিরতে পারবেন এ অলরাউন্ডার। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইছে নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি মাঠের ক্রিকেটে ফিরে আসুক। এ জন্য সংস্থাটির আইনি দল কাজ করছে। এমনটাই গতকাল জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন।
আইসিসির আইন ভেঙে অপরাধ করেছেন, তা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন সাকিব। এ জন্য শাস্তির বিরুদ্ধে তিনি কোনো আপিল করতে পারবেন না। তবে আইসিসির শর্ত অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কার্যক্রমগুলোতে নিয়মিত অংশ নিয়ে সাকিব আইসিসিকে সন্তুষ্ট করতে পারলে শাস্তির মেয়াদ কিছুটা কমে এলেও আসতে পারে। এমন উদাহরণ অতীতেও আছে। পাকিস্তান পেসার মোহাম্মদ আমিরের ক্ষেত্রেই সেটি হয়েছে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। তবে শাস্তির মেয়াদ কমায় নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই আমির ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে পেরেছিলেন। তবে বসে নেই বিসিবি। কোনোভাবে তার নিষেধাজ্ঞার সময় কমানোর সুযোগ আছে কিনা, সেটি গভীরভাবে সংস্থাটি দেখছে বলে জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘যেহেতু সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার এটা মেনে নিয়ে চুক্তির মধ্যে চলে গেছেন, বিষয়টায় আসলে বিসিবির করার সুযোগ সীমিত। তারপরও অবশ্যই আমরা আইনগত বিষয়গুলো দেখব, কতটা কাজ করার সুযোগ আছে এখানে। আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের লিগাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দেখছে। এখানে আদৌ কোনো সুযোগ আছে কিনা, এটি আমরা কথা বলে দেখব।’
নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় বিসিবির অনুশীলন-সুবিধাদি ভোগ করতে পারবেন কি না সাকিব, সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনে। বিসিবি অবশ্য এ ব্যাপারেও বেশ ইতিবাচক। তবে আগে সংস্থাটি এর আইনগত দিকটি বিশ্লেষণ করে দেখতে চায়Ñযে শাস্তির শর্ত অনুযায়ী সাকিবের এসব সুবিধা পেতে কোনো বাধা আছে কি না।