শেয়ার বিজ ডেস্ক: সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এর ফলে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা নদীবন্দর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোনো রুটে লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আশা পর্যন্ত নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্তটি বহাল থাকবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সংস্থাটি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড় আকারেও বেশ বড়। এটি ভারতের সমুদ্র উপকূলবর্তী তিনটি রাজ্য ও বাংলাদেশের ওপর বিস্তৃত। তিতলি প্রতি ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ মধ্যরাতে বা ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, তিতলি অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ১৪ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের দক্ষিণ ওড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশÑএ চারটি অঞ্চলজুড়ে ঘূর্ণিঝড়টি বিস্তৃত। প্রথমে ওড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে। এরপর বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে আসতে আসতে যদি দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে ভালো। কিন্তু আরও শক্তি সঞ্চয় করলে বিপদ। যেভাবেই আসুক না কেন, তিতলির প্রভাবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলসহ বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হবে বলে জানান সামছুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারের তিতলি দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সৈকত থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সাগরে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত সারা দেশে নৌচলাচল বন্ধ
