সাড়ে তিন বছর আগের অবস্থানে ডিএসইর সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার কারণে পুঁজিবাজারের সব সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। বাজার স্থিতিশীল থাকার কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ৩৪ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচকের অবস্থান হয় ছয় হাজার ৩০৭ পয়েন্টে। এর মধ্য দিয়ে ডিএসইর এ সূচকটি তিন বছর ছয় মাস ১১ দিন বা ৮১৩ কার্যদিবস পর ছয় হাজার ৩০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি সূচকটি ছয় হাজার ৩০০ পয়েন্টের ঘরে অবস্থান করেছিল। অন্য সূচকগুলোর মধ্য শরিয়াহ্ সূচক ছয় দশমিক ২৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক শূন্য দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে এক হাজার ৩৫৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট এবং দুই হাজার ২৭৪ দশমিক ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা। ভবিষ্যতে পুঁজিবাজার আরও ভালো হবেÑএমন প্রত্যাশা তাদের। এ পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরছেÑএমন প্রত্যাশা সবার। এ কারণে আবার পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। যদিও তাদের বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে ফোনের মাধ্যমে। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বাসায় বসে লেনদেন করছেন।

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, বাজারচিত্র স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। বাজারে যদি এ পরিবেশ স্থায়ী হয় তাহলে হয়ত এখানে বিনিযোগের পরিবেশও ফিরে আসবে। আমরাও কিছুটা মুনাফা করতে পারব। তবে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য দুর্বল ও ছোট কোম্পানির দৌরাত্ম্য যেন না বাড়ে সেদিকে নজর রাখার দরকার বলে মনে করেন তারা। কারণ ঊর্ধ্বমুখী বাজারে সবসময় এ ধরনের কোম্পানি নিয়ে কারসাজি হয়।

এ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজার যাতে ভালো থাকে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে বাজার ভালো থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে পুঁজিবাজার আরও ভালো থাকবে।

একই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএসইর একজন পরিচালক শেয়ার বিজকে বলেন, ‘সূচক ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসছেনÑএটা পুঁজিবাজারের জন্য শুভ লক্ষণ। কারণ তারা বিনিয়োগবিমুখ থাকলে বাজার কখনও স্বাভাবিক হতে পারবে না। তারা ফিরে আসা আমাদের জন্যও ভালো খবর। কারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন না করলে হাউস মালিকদেরও আয় কমে যায়। তখন তাদের ব্যবসা চালাতেও হিমশিম খেতে হয়। তাই এ পরিস্থিতিতে বাজারে কোনো ধরনের কারসাজি হচ্ছে কি নাÑসেদিকে নজর দেয়া দরকার।

প্রসঙ্গত, গত ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজার আশানুরূপভাবে কখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। যদিও এজন্য বাজার পরিস্থিতি ও দুর্বল কোম্পানির তালিকাভুক্তিকে দায়ী করেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য আগের কমিশনকেও দায়ী করা হয়। তবে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর বাজার পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০